কলকাতা : প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ মিটিংয়ে মুখ্যমন্ত্রীর না থাকা নিয়ে তাঁর উদ্দেশে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। 'রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের পক্ষে সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ স্বাস্থ্যকর নয়' এবং 'সাংবিধানিক শাসন ব্যবস্থার পক্ষে বেমানান', এভাবেই বিষয়টিকে বর্ণনা করেছেন তিনি। কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অল্প সময়ের জন্য দেখা করলেও বৈঠকের সময় ছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর না থাকা নিয়ে ট্যুইট শানিয়ে রাজ্যপাল লিখেছেন, 'রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের পক্ষে সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ একদমই স্বাস্থ্যকর নয়। মুখ্যমন্ত্রী ও আধিকারিকদের বৈঠকে যোগ না নেওয়ার ঘটনা আইন এবং সংবিধানিক শাসন ব্যবস্থার পক্ষে বেমানান।' তৃণমূল শিবিরও অবশ্য রাজ্যপালের খোঁচার পাল্টা দিয়েছে। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'জগদীপ ধনকড়, আপনি আমাকে বলতে পারেন, কোন নিয়ম অনুযায়ী নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকে নন্দীগ্রামের বিধায়ক উপস্থিত থাকতে পারেন? এই পরিস্থিতিতে রাজনীতি করা বন্ধ করুন।'
তৃণমূল শিবিরের ইঙ্গিত ও সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর রিভিউ বৈঠকে থাকার বিষয়েই ছিল মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি। প্রথমেঠিক ছিল ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকাগুলি আকাশপথে পরিদর্শনের পর পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডায় যখন পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তখন তাঁর সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও প্রশাসনিক বৈঠক সেরে কলাইকুণ্ডায় পৌঁছবেন। বৈঠক সেরে দিঘার পথ ধরবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তিনি বৈঠকে হাজির না হয়ে অল্প সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা দেখা করে রাজ্যে ইয়াসের জেরে ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান তুলে ধরে আর্থিক দাবি পেশ করে চলে আসেন।
কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপাল ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রিভিউ বৈঠকে যোগ দেন। পরে কেন্দ্রের তরফে ওড়িশার জন্য আপদকালীন পরিস্থিতিতে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় বৈঠকের শেষে। আর জানানো হয় পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় দল এসে খতিয়ে দেখে বাকি ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করবে।