নয়াদিল্লি: তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার৷ অথচ সুন্দর পিচাইয়ের সাফল্যের শিখরে ওঠার রাস্তাটা মসৃণ ছিল না। পিচাইকে আমেরিকা পাঠানোর জন্য বিমানের টিকিট কাটতে প্রায় এক বছরের বেতন খরচ করতে হয়েছিল তাঁর বাবাকে!


স্নাতক ডিগ্রি প্রদানের একটি অনুষ্ঠানে পিচাই জানালেন, কী ভাবে বর্তমানে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার শীর্ষস্থানে পৌঁছেছেন৷ ছাত্র-ছাত্রীদের বললেন, 'হাল ছেড়ো না৷ ধৈর্য রাখো৷' ইউটিউব-এ ওই ভার্চুয়াল ইভেন্টে বক্তব্য রাখেন সুন্দর। ছাত্র-ছাত্রীদের তিনি বললেন, 'প্রযুক্তির কিছু বিষয় তোমাদের অবসাদগ্রস্থ করতে পারে। অধৈর্য করে তুলতে পারে৷ ধৈর্য হারিও না৷ প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটবে৷ এমন কিছু তৈরি হবে, যা আমার প্রজন্ম স্বপ্নেও ভাবেনি৷'

এরপরই পিচাই জানান তাঁর লড়াইয়ের কথা৷ জানান, ২৭ বছর আগে স্ট্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটি-তে পড়ার সুযোগ পেয়ে যখন তিনি ভারত ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যান, সেই সময়ের স্মৃতি৷ বলেন, 'আমেরিকা যাওয়ার জন্য আমার প্লেনের টিকিট কাটতে বাবা প্রায় তাঁর গোটা বছরের বেতন খরচ করেছিলেন৷ যাতে আমি স্ট্যান্ডফোর্ডে পড়তে পারি৷ ওটাই ছিল আমার প্রথম বিমানে চড়ার অভিজ্ঞতা৷’ পিচাই আরও বলেন, ‘আমেরিকায় খরচ বেশি ছিল৷ বাড়িতে একটা ফোন করতে ১ মিনিটে ২ ডলারের বেশি খরচ হয়ে যেত৷ একটা ব্যাকপ্যাকের যা দাম, তত টাকা আমার বাবার মাসিক বেতন ছিল৷ যখন আমার বিমান ক্যালিফোর্নিয়ার মাটি ছুঁল, তখন আমি কিছুই জানি না, সামনে কী কী পরিবর্তন হতে চলেছে আমার জীবনে৷ ভাগ্য ছাড়া আমার সঙ্গী ছিল প্রযুক্তির প্রতি অসীম ভালোবাসা৷'

ধৈর্য না হারিয়ে ছাত্রদের নিজেদের ভালবাসার জিনিসকে আঁকড়ে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন পিচাই। তিনি ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, প্রাক্তন মার্কিন ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা, সঙ্গীতশিল্পী লেডি গাগা, নোবেলজয়ী মালালা ইউসফজাই৷