নয়াদিল্লি: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে গতকালই দেখা করেছেন। তারপর আজ ট্যুইট করে মোদি সরকারকে বিঁধলেন বিজেপি-র রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর ট্যুইট, ‘মোদি সরকারের রিপোর্ট কার্ড: অর্থনীতি-ফেল। সীমান্ত সুরক্ষা-ফেল। বিদেশনীতি- আফগানিস্তান বিষয়ক ব্যর্থতা। জাতীয় নিরাপত্তা- পেগাসাস এনএসও। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা- কাশ্মীরে বিষণ্ণতা। কে এর জন্য দায়ী? সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।’


গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুব্রহ্মণ্যম স্বামী খাতায় কলমে বিজেপি সাংসদ হলেও, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ থেকে শুরু করে এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করে দেওয়া, নানা ইস্যুতে মোদি সরকারের অবস্থানের ঘোর সমালোচক তিনি। এহেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ দিল্লির রাজনীতিতে জল্পনা উস্কে দেয়। 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ট্যুইট করেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি সেই ট্যুইটে লেখেন, ‘আমি যে সমস্ত রাজনীতিবিদের সঙ্গে কাজ করেছি তার মধ্যে জেপি, মোরারজি দেশাই, রাজীব গাঁধী, চন্দ্রশেখর এবং পি ভি নরসিংহ রাওয়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক সারিতে রাখব, যাঁরা যা মনে করেন, সেটাই বলেন। ভারতীয় রাজনীতিতে এই গুণ খুব কমই দেখা যায়।’


ইঙ্গিতপূর্ণ বিষয় হল, সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর এই বিশেষ গুণসম্পন্ন রাজনীতিবিদদের তালিকায় তাঁর নিজের দল অর্থাৎ বিজেপির কোনও বড় নেতার নাম নেই। নাম নেই খোদ নরেন্দ্র মোদির। 


সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বর্তমানে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ। তাঁর সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের এপ্রিল মাসে। এখন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন হল, নানা ইস্যুতে মোদি সরকারের সমালোচক সুব্রহ্মণ্যম স্বামীকে কি আদৌ কি আবার রাজ্যসভায় পাঠাবে বিজেপি? না কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে বিশেষ কোনও কারণ? ভবিষ্যতে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী কি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন? জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জল্পনা।