কলকাতা: ২রা মে ফেসবুক লাইভে এসে আবেগপ্রবণ হয়েছিলেন, কেঁদে ফেলেছিলেন। তৃণমূলের জয় নিয়ে প্রথমদিন থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। সেই জয়ের আনন্দ এখনও তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলের পরেও শান্ত হয়নি রাজ্য রাজনীতি। শপথগ্রহণ থেকে শুরু করে নারদাকাণ্ডে গ্রেফতার, বারে বারে উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। গত শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠি নিয়ে একরকম ঘর ওয়াপসিরই আর্জি জানান সোনালী গুহ। নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে কটাক্ষ করে একটি ফর্মের ছবি দিলেন দেবাংশু। কী আছে সেই ফর্মে?


দেবাংশুর সেই ফর্মে প্রথমে লেখা 'বেসুরো স্বীকারোক্তি ফর্ম', জমা দেওয়ার স্থান 'নিজের বিবেক'। এরপর সেই ফর্ম জুড়ে রয়েছে নানারকম কৌতুকের প্রশ্ন। যেমন 'বেসুরো হওয়ার সময়, কারণ, নিজেকে ধান্দাবাজ মনে করেন কি না' ইত্যাদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ফর্মের ছবিতে কমেন্টের ঝড়। কিন্তু সোনালী গুহর ঘর ওয়াপসি নিয়ে কী মত দেবাংশুর? এবিপি লাইভকে দেবাংশু বললেন, 'দিদির ছবি সরার পর অনেকের সঙ্গেই খেলা হয়ে গিয়েছে। তাঁরা এখন দলে ফেরার চেষ্টা করছেন। ২০১৯-এর ফলাফল দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন হাতি কাদায় পড়েছে। কিন্তু আজকে তারাই আবার দলে ফিরতে চাইছেন। সোনালী গুহর দলে ফেরা নিয়ে সমস্ত তৃণমূল কর্মীরাই বলছেন যে, যাঁদের ছাড়াই আমরা জিতেছি তাঁদের কী আর সত্যিই দরকার রয়েছে? তবে আমি বলব দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দলনেত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে। তবে যাঁরা তৃণমূলে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তাঁরা এখন বিজেপিতে গিয়ে শ্বাসকষ্টে ভোগা শুরু করেছেন দেখে ভালো লাগছে।'




নারদাকাণ্ডে চার হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারিকে ঘিরে সদ্য তোলপাড় হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। আদালতের শুনানির পর গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। অসুস্থতার কারণে মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় হাসপাতালে রয়েছেন। গত শুক্রবারই বাড়ি ফিরেছেন ফিরহাদ হাকিম। শনিবার বাড়ি ফেরেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।


চার নেতার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে দেবাংশু বলছেন, 'বাচ্চার মুখের সামনে থেকে লজেন্স ছিনিয়ে নিলে বাচ্চারা হাত পা ছোঁড়ে। হাতের কাছে থাকা জিনিসপত্র অগোছালো করে। বাংলা বিজেপির মুখের সামনে থেকে ক্ষমতার লজেন্স ছিনিয়ে নিয়েছে। বিজেপি প্রত্যাঘাত হিসাবে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারকে মানসিক আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করছে। সবই বাংলাকে বিপদে ফেলার জন্য। কিন্তু তৃণমূল রুটির মত। যত চাপা হয় ততই ফুলে ওঠে।