মঙ্গলবার মমতা বৃহস্পতিবার মোদির প্রধানমন্ত্রী পদে ও তাঁর বাকি মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা স্পষ্ট করেন। এটা সাংবিধানিক সৌজন্য বলে তিনি জানান। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই ট্যুইটে সিদ্ধান্ত বদলের ঘোষণা করেন। লেখেন, অভিনন্দন নয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি। সাংবিধানিক আমন্ত্রণ গ্রহণ করে শপথ নেওয়ার সভায় উপস্থিত থাকার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু মিডিয়া রিপোর্টে দেখছি, বিজেপি দাবি করছে, ১ বছরে রাজনৈতিক হিংসায় ৫৪ জন খুন হয়েছেন বাংলায়। এটা একেবারে অসত্য। রাজ্যে কোনও রাজনৈতিক হত্যা হয়নি। ব্যক্তিগত বিদ্বেষ, শত্রুতা, পারিবারিক বিবাদ ও অন্যান্য বিরোধ, ঝগড়ায় এইসব মৃত্যু ঘটে থাকতে পারে, কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের কাছে এমন কোনও তথ্য নেই।
মমতা ট্যুইটে আরও লেখেন, সুতরাং, দুঃখিত নরেন্দ্র মোদিজি, এজন্যই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে না যেতে বাধ্য হলাম। এই অনুষ্ঠান গণতন্ত্র উদযাপনের এক পবিত্র উপলক্ষ্য। এটা এমন অনুষ্ঠান নয়, যার মর্যাদা এমন কোনও রাজনৈতিক দল খাটো করবে যারা তাকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে। আমায় মার্জনা করবেন।
প্রসঙ্গত, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মোদি ও মমতা, দুজনেই পরস্পরের বিরুদ্ধে সপ্তমে সুর চড়িয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত রাজ্যে তৃণমূলের দূর্গে বড় আঘাত হেনে ১৮টি লোকসভা ভোট ঝুলিতে পুরেছে বিজেপি। এই অভাবনীয় সাফল্যের পরও তৃণমূলে ফাটল ধরিয়েছে বিজেপি। মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায় সহ তিন শাসক দলের বিধায়ক, প্রায় ৬০ জন পুরপ্রতিনিধি সদলবলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।