নয়াদিল্লি: ভারতে রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে আসতে আগামী মাসে ফ্রান্স যাচ্ছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া। ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৩৬ টি রাফাল বিমান কেনা হচ্ছে ফ্রান্স থেকে। সেগুলির মধ্যে প্রথম বিমানটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ফ্রান্সের পদস্থ প্রতিরক্ষা আধিকারিকরা। সেই সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন রাফাল নির্মাণকারী সংস্থা দাসল্ট অ্যাভিয়েশনের পদস্থ আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার দ্বিপাক্ষিক সফরে ফ্রান্স যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সফরে দুই দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতার আরও প্রসার নিয়ে আলোচনা হবে।
২০১৬-র সেপ্টেম্বরে ৫৮ হাজার কোটি টাকায় ৩৬ টি রাফাল যুদ্ধবিমান ক্রয়ের জন্য ফ্রান্সের সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত সরকার। এই যুদ্ধবিমান বিভিন্ন শক্তিশালী অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম।
এই যুদ্ধবিমানের অন্তর্ভূক্তির জন্য ভারতীয় বায়ুসেনা প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো প্রস্তুতকরণ ও পাইলটদের প্রশিক্ষণের মতো প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ করেছে।
সূত্রের খবর, এই যুদ্ধবিমানের প্রথম স্কোয়াড্রন আম্বালা বায়ুসেনার ঘাঁটিতে মোতায়েন করা হবে। দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনটি থাকবে পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা ঘাঁটিতে।
যুদ্ধবিমানটিতে ভারতের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যুক্ত করার ব্যাপারে দাসল্টকে সাহায্য করতে ভারতীয় বায়ুসেনার বিভিন্ন দল ফ্রান্সে ইতিমধ্যেই গিয়েছে।
রাফাল জেটে ইজরায়েলি হেলমেট মাউন্টেড ডিসপ্লে, রাডার ওয়ার্নিং রিসিভার, লো-ব্যান্ড জ্যামার, উড়ানের ১০ ঘন্টার ডেটা রেকর্ডিং, ইনফ্রা-রেড সার্চ ও ট্রাকিং সিস্টেমের মতো ভারতের জন্য নির্দিষ্ট বিভিন্ন সংস্করণ ঘটানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দাম সহ এই যুদ্ধবিমান ক্রয় চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। এক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ করেছে তারা। যদিও সরকার সেইসব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।
দুটি ঘাঁটিতে শেল্টার, হ্যাঙ্গার ও রক্ষণাবেক্ষণের মতো প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য আইএফএ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
চুক্তি অনুসারে, স্বাক্ষরের দিন থেকে ৬৭ মাসের মধ্যে যুদ্ধবিমানের সরবরাহ সম্পূর্ণ করতে হবে।