নয়াদিল্লি: রাফালে যুদ্ধবিমান চুক্তি নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগ তুললেন তাঁর পূর্বসূরি এ কে অ্যান্টনি। তাঁর প্রশ্ন, কেন এই ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি কেন এড়িয়ে চলছে সরকার?


অ্যান্টনির অভিযোগ, রাফালে চুক্তিতে মোদী সরকারের বড়সড় গাফিলতি রয়েছে। এর ফলে, দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। সম্প্রতি, অ্যান্টনির বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে রাফালে চুক্তিতে দর কষাকষির সময় সংশ্লিষ্ট কমিটির কাজে অহেতুক হস্তক্ষেপ করে রাফালে চুক্তিকে বিশ বাঁও জলে পাঠানোর অভিযোগ তুলেছিলেন সীতারমণ।


এদিন জবাব দিতে গিয়ে সব অভিযোগ খারিজ করেন ইউপিএ জমানার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁর পাল্টা দাবি, এসব অভিযোগ তুলে আখেরে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর ভাবমূর্তি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন সীতারমণ। তাঁর প্রশ্ন, যদি ইউপিএ জমানার থেকে বর্তমান দর কম হয়ে থাকে, তাহলে কেন ১২৬টির পরিবর্তে মাত্র ৩৬টি যুদ্ধবিমান ফ্রান্স থেকে কিনছে ভারত?


তিনি বলেন, মোদী সরকার যদি ঠিক বলে থাকে, তাহলে কেন তারা ইউপিএ জমানায় ১২৬টি বিমানের নির্ধারিত হওয়া দাম এবং একইসঙ্গে বর্তমান শাসনে ৩৬টি বিমানের মূল্য ও প্রত্যেক বিমানের মূল্য প্রকাশ করছে না? তিনি বলেন, সরকারের উচিত যৌথ সংসদীয় কমিটিকে দিয়ে গোটা বিষয়টি তদন্ত করানো। যাতে প্রকৃত সত্যটি সকলের সামনে উন্মোচিত হয়।


যদিও, অ্যান্টনির এই অভিযোগ ও দাবি কিছুক্ষণের মধ্যেই পত্রপাঠ খারিজ করে দেন সীতারমণ। তিনি পাল্টা দাবি করেন, ইউপিএ জমানা থেকে ৯ শতাংশ কম দরে রাফালে বিমান কিনছে মোদী প্রশাসন। তাঁর আরও দাবি, এই ইস্যুটি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির হয়ে বড় হাতিয়ার হবে।


এদিকে, ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে রাফালে চুক্তি স্থগিতাদেশ চেয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি মুলতুবি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন, বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি নবীন সিনহা ও বিচারপতি কে এম জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ১০ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।