নয়াদিল্লি: ২০১৯-এর নির্বাচন মাথায় রেখে দিল্লি বিজেপি সমীক্ষা করতে চলেছে রাজধানীতে তাদের বর্তমান সাংসদরা নিজ নিজ কেন্দ্রের মানুষের কাছে কতটা জনপ্রিয়। এতে আগামী ভোটের প্রার্থী বাছতে সুবিধা হবে বলে জানিয়েছে তারা। ১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটি কনসালটেন্সি সংস্থাকে দিয়ে ওই সমীক্ষা করানো হবে বলে জানিয়েছেন দিল্লি বিজেপির এক শীর্ষ নেতা।
২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে রাজধানীর সাতটি কেন্দ্রেই জয়ী হন বিজেপি প্রার্থীরা। কিন্তু ২০১৯-এর ভোটে সেই চোখধাঁধানো ফলের পুনরাবৃত্তি হওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছে বিজেপিই।
বিজেপির নেতাটি বলেন, সমীক্ষার মাধ্যমে সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় এমপিদের গ্রহণযোগ্যতাই শুধু বোঝা যাবে না, গত সাড়ে চার বছরে তাঁদের কাজকর্ম ও বিজেপি সরকারের নানা কর্মসূচি, স্কিমের প্রভাব কতটা পড়েছে, সেটাও বোঝা যাবে। সার্ভেতে বিজেপি সাংসদরা কী কী করেছেন, বিপদ আপদে মানুষ কতটা তাঁদের হাতের কাছে পান, সেসব জানতে চাওয়া হবে। সার্ভের ফলাফল দলের দিল্লি শাখা ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানো হবে।
এবার দিল্লিতে বিজেপির সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ কংগ্রেস ও আপ। দুদলই ঘরোয়া সমীক্ষা করিয়ে দাবি করেছে, সাতটি কেন্দ্রের বেশিরভাগই তারা পাবে। আপ ২০১৪-র লোকসভা ভোটে দিল্লি থেকে একটি আসনও পায়নি। এবার তারা এর মধ্যেই ৫টি সংসদীয় কেন্দ্রে ইনচার্জ নিয়োগ করে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
বিজেপি নেতাটি বলেন, আমাদের প্রার্থী বাছতে, আগামী ভোটের কৌশল নির্ধারণে সাহায্য করবে সমীক্ষাটি। আপ ও কংগ্রেস যে ‘তথাকথিত’ সমীক্ষা করে সাফল্য পাবে বলে দাবি করেছে, তার কতটা ভিত্তি আছে, সেটাও বোঝা যাবে।