নয়াদিল্লি: ফের দিল্লি নির্বাচনে ভরাডুবি কংগ্রেসের। ২০১৫ সালের নির্বাচনের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি ২০২০ সালে। গতবারের মত এবারও একেবারে কংগ্রেসকে খালি হাতে ফেরাল দিল্লিবাসী।
তবে পরিসংখ্যান বলছে, গত নির্বাচনের থেকেও খারাপ ফল করেছে দল। ২০১৫ সালে কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৯.৭ শতাংশ। এবার তা অর্ধেক হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪.২৭ শতাংশ। কংগ্রেস কতটা ধরাশায়ী হয়েছে তা একটা পরিসংখ্যান দিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। এবারের নির্বাচনে ৬৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। শরিক রাষ্ট্রীয় জনতা দল(আরজেডি)-র জন্য ৪টি আসন ছেড়েছিল সনিয়া গাঁধীর দল। ওই ৬৬ আসনের সবকটিই হেরেছে কংগ্রেস।
শুধু তাই নয়, আরও লজ্জার বিষয় হল-- ৬৩ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। একমাত্র গাঁধীনগর এলাকায় অরবিন্দর সিংহ, বদলির প্রার্থী দেবেন্দর যাদব এবং কস্তুর্বা নগরের প্রার্থী অভিষেক দত্ত নিজেদের জামানত রক্ষা করতে পেরেছেন। এমনকী, সম্প্রতি আম আদমি পার্টি থেকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া চাঁদনি চকের বিধায়ক অলকা লাম্বাও হেরেছেন।
এবারের দিল্লি নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেসের স্লোগান ছিল ‘কংগ্রেস ওয়ালি দিল্লি..’। শীলা দীক্ষিতের আমলে কংগ্রেসের কী কী সাফল্য ছিল, সেই খতিয়ান তুলে ধরার চেষ্টা করেছে দল। যদিও, ফলাফল বের হতে স্পষ্ট, দিল্লিবাসীর মনে তা রেখাপাত করতে ব্যর্থ।
কংগ্রেসই একমাত্র দল যারা সংশোধিত  নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল। তারা ঘোষণা করেছিল, ক্ষমতায় এলে দিল্লি বিধানসভায় সিএএ-বিরোধী প্রস্তাব পাশ করানো হবে। তাতেও কোনও লাভ যে হয়নি, তা স্পষ্ট। চার-চারটি জনসভা করেন রাহুল গাঁধী। তিনি সেখানে যুবাদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করার ওপর জোর দেন। তাতেও লাভ হয়নি।
এদিকে, এই বিপর্যয়ের দায়িত্ব নিয়ে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুভাষ চোপড়া। দলের ভরাডুবির জন্য তিনি রাজনীতির মেরুকরণকে দায়ী করেছেন। একইসঙ্গে, তিনি এ-ও জানান, এই ফলাফলের পর্যালোচনা করবে দল।