নয়াদিল্লি: উৎসবের মরসুমে দেশে হঠাৎই বিদ্যুতের সঙ্কট! গুজরাত, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলি ব্ল্যাকআউটের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে কয়লার জোগান বাড়ানো না হলে দু’দিনের মধ্যেই ব্ল্যাকআউট হয়ে যেতে পারে।


কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহ অবশ্য এই আশঙ্কা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি সংবাদসংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, ‘অকারণে আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। দেশে যথেষ্ট কয়লা মজুত আছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে চারদিনেরও বেশি চলার মতো কয়লা মজুত আছে। বাওয়ানা গ্যাস পাওয়ার প্ল্যান্টকে গেইলের সিএমডি জানিয়েছেন, চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় দু’দিন পরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপরেই আতঙ্ক তৈরি করা হয়। আমি গেইলের সিএমডি-কে বলেছি, প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহ চালিয়ে যেতে হবে। ডিসকমের সিইও এবং গেইলের সিএমডি-কে সতর্ক করে বলেছি, এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করলে ভবিষ্যতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেছেন, ‘ওদের কাছে কোনও ইস্যু নেই। সেই কারণে ওরা ইস্যু তৈরি করতে চাইছে। আমার প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে চলেছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাব। এ বিষয়ে অযথা রাজনীতি করা হচ্ছে।’


দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকেও একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘কেজরিওয়াল জানেন না কোনও সমস্যা আছে কি না। তাঁর যদি কিছু জানার থাকে, তাহলে বিদ্যুৎমন্ত্রক থেকে জেনে নিতে পারেন বা আমাদের বলতে পারেন।’


কয়লা ও খনি মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন, ‘প্রতিদিন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে সরবরাহ করার মতো প্রয়োজনীয় কয়লা মজুত আছে। বৃষ্টি কমে যাওয়ায় এবার কয়লা সরবরাহ বাড়বে। দেশে যথেষ্ট কয়লা মজুত আছে। আশঙ্কার কোনও কারণ নেই।’


দুর্গাপুজো, নবরাত্রির মতো উৎসবের আবহ দেশজুড়ে। এই পরিস্থিতিতে যদি সত্যিই দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ব্ল্যাকআউট হয়, তাহলে বড় সঙ্কট তৈরি হবে।