রবিবার ৩৮ বছর সম্পূর্ণ হবে ধোনির। যাঁর নেতৃত্বে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ছাড়াও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। ধোনির কৃতিত্ব তুলে ধরতে একটি বিশেষ ভিডিও প্রকাশ করেছে আইসিসি। পরে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় আইসিসি-র তরফে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের অভিমুখ বদলে দিয়েছে এই একটা নাম। বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রেরণা জোগায়। একজন কিংবদন্তি। এমএস ধোনি শুধু একটা নাম নয়।’
আইসিসি-র এই টুইটের পর ধোনির অবসর নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকের প্রশ্ন, তাহলে কি চলতি বিশ্বকাপের শেষেই ক্রিকেট কিটস তুলে রাখতে চলেছেন ধোনি! সে জন্যই কি ধোনিকে আগাম সম্মান জানিয়ে রাখা হল আইসিসি-র তরফে!
ভিডিওটিতে বিরাট কোহলি এবং যশপ্রীত বুমরার মন্তব্যও রয়েছে। কোহলি বলেছেন, ‘বাইরে থেকে যা দেখা হয় তার সঙ্গে একটা মানুষের অন্তরটা মেলানো চলে না। ধোনি সব সময়ই খুব শান্ত এবং সংযত। ওর কাছে কত কী শেখার রয়েছে। ও আমার অধিনায়ক ছিল এবং আজীবন তা-ই থাকবে। আমাদের বোঝাপড়া দুর্দান্ত। ওর পরামর্শ পাওয়ার জন্য সারাক্ষণ মুখিয়ে থাকি।’
বুমরা বলেছেন, ‘২০১৬ সালে যখন দলে আসি, ওই ক্যাপ্টেন ছিল। দলকে কঠিন পরিস্থিতিতে শান্ত রাখতে ওর ভূমিকা অনস্বীকার্য। সাহায্য করতে সদাপ্রস্তুত থাকে।’
আইপিএলে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসে ধোনির সঙ্গে খেলেছেন ইংরেজ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। তাঁর কথায়, ‘ক্রিকেটে সর্বকালের অন্যতম সেরা। দুর্দান্ত উইকেটকিপার। আমার মনে হয় না ওর মতো ভাল আর কেউ হবে বলে।’
ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জস বাটলার নিজে আবার ধোনির ভক্ত। বলেছেন, ‘অবশ্যই উইকেটকিপার হিসাবে আশৈশব ও আমার আদর্শ ছিল। মিস্টার কুল, মাঠে ওর ব্যক্তিত্ব আমার ভীষণ প্রিয়। স্টাম্পসের পিছনে বিদ্যুতের মতো দ্রুত। ব্যাট করার সময় কী অসম্ভব শান্ত থাকে। খেলাটার দারুণ প্রচারদূত আর আমি এমএস ধোনির বিরাট বড় ফ্যান।’