কলকাতা: মুম্বইয়ের বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ। রবিবার দুপুরে খবরটা প্রকাশ্যে আসতেই হাহুতাশ অভিনয় জগতে। শোকস্তব্ধ বলিউড। বাকরূদ্ধ অভিনেতার ভক্ত-অনুরাগীরা। মর্মান্তিক খবরে স্তব্ধ মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও। পর্দায় যাঁকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন সুশান্ত।


‘এমএস ধোনি – দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ সিনেমায় জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে সকলের মন জিতে নিয়েছিলেন সুশান্ত। তাঁর আত্মহত্যার খবর শুনে শোকস্তব্ধ ধোনিও। নয়াদিল্লি থেকে ধোনির ম্যানেজার ও ‘এমএস ধোনি – দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ সিনেমার প্রযোজক অরুণ পাণ্ডে মোবাইল ফোনে এবিপি আনন্দকে বললেন, ‘সুশান্তের মৃত্যুর খবর পেয়ে মুষড়ে পড়েছে মাহিও। খুব মর্মান্তিক ঘটনা। বিশ্বাসই হচ্ছে না সুশান্ত আর নেই।’

অরুণ বললেন,  ‘সিনেমাটির শ্যুটিংয়ের সময় ১৮ মাস সুশান্তের সঙ্গে ছিলাম। তার মধ্যে ৯ মাস মাঠে পড়েছিল। খুব পরিশ্রমী। মাহির সঙ্গেও ১৫ দিন সময় কাটিয়েছিল। ধোনির চরিত্র নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে মরিয়া ছিল ও।‘ অরুণ যোগ করলেন, ‘প্র্যাক্টিসের সময় একবার সাইড স্ট্রেন হয়েছিল সুশান্তের। ওর পিঠের হাড়ে চিড় ধরেছিল। দিনরাত পরিশ্রম করে, রিহ্যাব করে মাত্র এক সপ্তাহে সুস্থ হয়ে উঠেছিল। সুশান্তের এই নিষ্ঠা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল মাহিও।’

ধোনির বায়োপিকের শ্যুটিংয়ের সময় সুশান্তের সঙ্গে সময় কাটিয়েছিলেন সীমান্ত লোহানিও। যিনি ধোনির বাল্যবন্ধু এবং বায়োপিকে যাঁকে চিট্টু হিসাবে দেখানো হয়েছিল। রাঁচি থেকে ফোনে এবিপি আনন্দকে সীমান্ত বললেন, ‘মাত্র ৩৪ বছর বয়স সুশান্তের। পুরো কেরিয়ার পড়েছিল সামনে। অনেক উঁচুতে উঠতে পারত।  সিনেমার শ্যুটিংয়ের সময় আমাদের, অর্থাৎ মাহির বন্ধুদের সঙ্গে সারাক্ষণ কথা বলত। জিজ্ঞেস করত, ধোনি কীভাবে হাঁটে, কথা বলে। আর কী কী করলে চরিত্রটা আরও নিখুঁত করা যায়। মর্মান্তিক খবর। ওর এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছি না।’

অরুণ বললেন, ‘রাত জেগে পরিশ্রম করত। ধোনির চরিত্রটার সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিল। সুশান্ত বলত, সুযোগ যখন পেয়েছি, আমি দেখিয়ে দেব ধোনির চরিত্র আমার চেয়ে ভাল কেউ করতে পারবে না। ধোনিকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা খুব কঠিন ছিল। সেই চ্যালেঞ্জটা ও নিয়েছিল। মাহির ম্যানারিজম হুবহু ফুটিয়ে তুলেছিল।’ যোগ করলেন, ‘মাহির সঙ্গে কথা বলেছি। ও মর্মাহত। মাহিও মনে করে, ওর চরিত্র অন্য কোনও অভিনেতা এত ভালভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারত না।’