নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সতর্কতা বিধি লঙ্ঘন করেননি। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এমনই দাবি করলেন হরিয়ানার মন্ত্রী অনিল ভিজ।


গতকাল জানা যায়, করোনা আক্রান্ত হয়েছেন হরিয়ানার মন্ত্রী। তিনি নিজেই ট্যুইট করে এই খবর জানান। ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘আমার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমি অম্বালা ক্যান্টনমেন্টের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। গত কয়েকদিনে যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁরা দয়া করে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিন।’ গত মাসে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে কোভ্যাক্সিনের ডোজ নিয়েছিলেন। এরপরেই করোনা আক্রান্ত হলেন তিনি।

একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভিজ করোনা-সতর্কতা মেনে চলেননি এবং করোনা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও লোকজনের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই খবরের প্রতিবাদ করে মন্ত্রী ট্যুইট করেছেন, ‘ওই সংবাদপত্রে ভুল ও দায়িত্বজ্ঞানহীন খবর প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমি করোনা-সতর্কতা মেনে চলিনি এবং করোনা পজিটিভ হওয়া সত্ত্বেও লোকজনের সঙ্গে দেখা করেছি। এই খবর সম্পূর্ণ ভুল। আমার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার আধঘণ্টার মধ্যেই অম্বালা ক্যান্টনমেন্টের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। পানিপথ থেকে আসার দু’দিন পরেই জানতে পারি, সেখানকার বিধায়ক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেদিনই আমি চণ্ডীগড়ে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করাই। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে।’

ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, ‘কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে ২৮ দিনের ব্যবধানে দু’বার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার দু’সপ্তাহ পরে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার বিষয়ে জানা যাবে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবকদের ভ্যাকসিন বা প্লেসিবো পাওয়ার ৫০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে।’

একটি সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিজ বলেছেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পরে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে শুরু করে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। তাই গোটা প্রক্রিয়ায় ৪২ দিন লাগে। এর মধ্যে করোনা হতেই পারে। আমার গলা ব্যথা, জ্বর ও শরীরে ব্যথা আছে। তবে এমনিতে ঠিকই আছি।’

এদিকে, দেশে করোনায় কমল দৈনিক মৃত্যু, সংক্রমণ। একইসঙ্গে কমেছে দৈনিক সুস্থতা। দৈনিক মৃত্যুতে দেশে আজও তৃতীয় স্থানে বাংলা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে দিল্লি। ওই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের। দেশে করোনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ১৮২ জনের। মোট আক্রান্ত ৯৬ লক্ষ ৪৪ হাজার ২২২।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৮২ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫১২। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ১১ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৬ হাজার ৬৫২। তবে এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৯১ লক্ষ ৭৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪১ হাজার ৯৭০ জন। গতকাল দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৫৩৩। দেশে মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ। সুস্থতার হার বেড়ে ৯৪.৩৭ শতাংশ।