নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে চলতি আন্দোলনে যোগ দিলেন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী বক্সার বিজেন্দ্র সিংহ। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘সরকার যদি কালো আইন প্রত্যাহার না করে, তাহলে আমি রাজীব গাঁধী খেল রত্ন পুরস্কার ফিরিয়ে দেব। এটা খেলার জন্য দেশের সবচেয়ে বড় সম্মান। আমি পঞ্জাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। সেই সময় কৃষকদের রুটি খেয়েছি। আজ তাঁরা যখন এই ঠান্ডার মধ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, আমি তাঁদের ভাই হিসেবে এসেছি। হরিয়ানার অন্যান্য অ্যাথলিটদেরও এখানে আসার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু তাঁরা সরকারি চাকরি করেন। কৃষক আন্দোলনে যোগ দিলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, কৃষকদের সঙ্গে আছেন।’


আজ অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত রাজবীর কউর, গুরমাইল সিংহ, প্রাক্তন কুস্তিগীর কর্তার সিংহ, প্রাক্তন বক্সার জয়পাল সিংহ ও ধ্যানচাঁদ পুরস্কারপ্রাপ্ত অজিত সিংহ কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন।

কৃষি আইনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কৃষকদের সংগঠনগুলি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই বনধকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছে। তাঁদের মধ্যে আছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কংগ্রেসের একাধিক নেতা, টিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। এছাড়া বনধ সমর্থন করেছে সিপিআই, সিপিএম, আরএসপি।

এনসিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করবেন দলীয় প্রধান শরদ পওয়ার। শিরোমণি অকালি দলের সাংসদ প্রেম সিংহ চন্দুমজরা জানিয়েছেন, ‘মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও কৃষক আন্দোলন নিয়ে অকালি দলের অবস্থানকে সমর্থন করেছেন। তাঁরও মতে, কৃষকদের অধিকার ও স্বার্থরক্ষা করতে হবে।’

মঙ্গলবারের ভারত বনধকে সমর্থন জানিয়েছে ‘পিপল’স অ্যালায়েন্স ফর গুপকর ডিক্লারেশন’ সহ ১১টি বিরোধী দল। সিপিআই, সিপিএম, আরএসপি ছাড়াও সিপিআই (এমএল), ডিএমকে, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, ফরওয়ার্ড ব্লক, কংগ্রেস ভারত বনধ সমর্থন করেছে।

কৃষক নেতা বলদেব সিংহ সবাইকে মঙ্গলবারের ভারত বনধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘কৃষকদের এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।’ তিনি জানিয়েছেন, ভারত বনধের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দিল্লি আসছেন গুজরাতের ২৫০ জন কৃষক।

ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইটিটিএ) ও দিল্লি গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনও কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবারের বনধকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছে। আইটিটিএ সভাপতি সতীশ শেরাওয়াত জানিয়েছেন, ‘৫১টি ইউনিয়ন কৃষকদের সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষি ও পরিবহণ একই পিতার দুই সন্তানের মতো।’