খনি বন্দি শ্রমিক উদ্ধারে মেঘালয় সরকারের কাজে সন্তুষ্ট নয় সুপ্রিম কোর্ট, চায় দ্রুত উদ্ধার কাজ
ABP Ananda, Web Desk | 03 Jan 2019 05:10 PM (IST)
নয়াদিল্লি: ২০ দিন ধরে মেঘালয়ের কয়লাখনিতে বন্দি রয়েছেন ১৫ জন শ্রমিক। এতদিনেও তাঁদের একজনকেও উদ্ধার করতে পারেনি মেঘালয় সরকার। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের ‘ঢিলেঢালা’ ভাবকে আজ তীব্র সমালোচনা করল। ওই শ্রমিকদের উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক বলে তারা মন্তব্য করেছে। কেন্দ্রের হয়ে আদালতে বক্তব্য রাখেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বিচারপতি এ কে সিক্রি ও বিচারপতি এস আবদুল নাজিরের বেঞ্চ তাঁকে বলে, আগামীকালের মধ্যে সরকারকে জানাতে হবে খনি থেকে শ্রমিক উদ্ধারে কী কী পদক্ষেপ করতে চায় তারা কারণ প্রতিটি মুহূর্ত এখন গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্রীয় সরকারের এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করা উচিত। তারা সেনার সাহায্য নিতে পারে, সেনা সাহায্যের জন্য প্রস্তুত রয়েছে, এ ব্যাপারে ইচ্ছাপ্রকাশও করেছে তারা। মন্তব্য করেছে আদালত। আবেদনকারীর পক্ষ থেকে আইনজীবী বলেন, মাত্র ২৫ অশ্বশক্তি ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প দিয়ে জলে ডোবা খনি থেকে জল বার করা চলছে। এ ধরনের কাজে কোনও অভিজ্ঞতা নেই, এমন ব্যক্তিদের পাঠানো হয়েছে মেঘালয়ের এই উদ্ধার কাজে। জবাবে সলিসিটর জেনারেল বলেন, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স বা এনডিআরএফের ৭২ জন কর্মী ঘটনাস্থলে রয়েছেন। যেহেতু ওই কয়লা খনি জলে ডুবে গিয়েছে তাই সেনা পাঠানো না হলেও নৌবাহিনীর জওয়ানদের পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, এত কিছুর পরেও শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায়নি। তাহলে কেন সেনার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে না? গত বছর জুন-জুলাই মালে তাইল্যান্ডের জল ভর্তি গুহায় আটকে পড়া ফুটবলারদের উদ্ধারে এখানকার কির্লোস্কার ব্রাদার্স লিমিটেড ৪টে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প পাঠায়। সেগুলো এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে না কেন? সলিসিটর জেনারেল বলেছেন, কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার সঙ্গে বৈঠক করেছেন, একজন নোডাল অফিসার নিযুক্ত করেছেন তাঁরা। কিন্তু এই সব পদক্ষেপে তারা যে সন্তুষ্ট নয় তা সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছে। মেঘালয়ের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ আইনজীবীকে বিচারপতিরা প্রশ্ন করেন, শ্রমিক উদ্ধারে কী কী পদক্ষেপ করেছেন তাঁরা। এত কিছুর পরেও শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায়নি কেন, কেন্দ্রীয় সাহায্যই বা কেন নেওয়া হয়নি। জবাবে আইনজীবী জানান, ওই বেআইনি কয়লাখনিটি কাছের একটি নদীর সঙ্গে যুক্ত, ফলে শ্রমিকদের উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।