অসুস্থ হলে সংক্রমণ ঠেকাতে কী উপায় অবলম্বন করে কীটপতঙ্গ-পশুপাখিরা?
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 18 Aug 2020 01:07 PM (IST)
চলতি করোনাভাইরাস অতিমারী পরিস্থিতিতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং ও কোয়ারেন্টিন কী, তা প্রায় সবারই জানা হয়ে গিয়েছে। এই অতি সংক্রমক অসুখের সংক্রমণ রোধের অন্যতম উপায় হল শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও আক্রান্ত হলে নিজেকে বাকিদের থেকে আলাদা করে রাখা।
নয়াদিল্লি: চলতি করোনাভাইরাস অতিমারী পরিস্থিতিতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং ও কোয়ারেন্টিন কী, তা প্রায় সবারই জানা হয়ে গিয়েছে। এই অতি সংক্রমক অসুখের সংক্রমণ রোধের অন্যতম উপায় হল শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও আক্রান্ত হলে নিজেকে বাকিদের থেকে আলাদা করে রাখা। এমনও কিছু পশুপাখি ও কীটপতঙ্গ রযেছে, যাদের জগতে এটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। ব অসুস্থ কীটপতঙ্গ বা পশুপাখি অসুস্থ হলে সুস্থদের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করে। ভ্যাম্পায়ার বাদুড় বা এদের শাবকরা অসুস্থ হলে অন্যান্য সুস্থরা তাদের থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে নেয়। এমনকি অসুস্থদের কেউ দেখভালও ছেড়ে দেয়। তবে খাবারের যোগান চালিয়ে যায়। এমনটা করা না বলে সেই অসুস্থতা সবার মধ্যেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। কীটপতঙ্গরাও সংক্রমণ এড়ানোর উপায় অবলম্বন করে। সংক্রমিত কীটপতঙ্গ সুস্থ কীটপতঙ্গদের বাঁচাতে নিজেকে আলাদা করে নেয়। এভাবে অন্যান্য কীটপতঙ্গদের অসুস্থতা থেকে রক্ষার চেষ্টা করে। এ জন্য সেল্ফ আইসোলেট করে নেয়। ব্ল্যাক গার্ডেন পিঁপড়ে অসুস্থ হলে সঙ্গী সুস্থ পিঁপড়েদের কাছে যায় না। একইভাবে উইপোকাও যখন বিশেষ ছত্রাকে আক্রান্ত হয়, তখন নাচতে শুরু করে। অসুস্থ উইপোকা সঙ্গীদের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে তাদের এড়িয়ে চলে। মৌমাছির লার্ভা যখন ব্যাক্টেরিয়া আক্রান্ত হয়, তখন মৌমাছি বিশেষ রাসায়নিক নিঃসরণ করে। ওই রাসায়নিক অন্যান্য মোমাছিরা ভাপ নেয় এবং নিজেদের তার থেকে আলাদা করে নেয়।