নয়াদিল্লি: রেসপিরেটরি ভাল্ভ সমেত এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার নিয়ে মানুষকে সতর্ক করল কেন্দ্র। এই মর্মে রাজ্য ও কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, রিসপিরেটরি ভাল্ভ লাগানো এন-৯৫ মাস্ক করোনা আটকাতে পারে না। ফলে, সেগুলি যেন না ব্যবহৃত হয়।


রাজ্যগুলিকে পাঠানো চিঠিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ডিজি (স্বাস্থ্য পরিষেবা) রাজীব গর্গ বলেন, এটা সকলের জ্ঞাতার্থে জানানো হচ্ছে যে, রেসপিরেটরি ভাল্ভ ওয়ালা এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করা ক্ষতিকর। বিশেষ করে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, এধরনের মাস্ক তার পরিপন্থী। কারণ, তা কোনও অবস্থাতেই ভাইরাসকে ওই মাস্কের বাইরে বের হওয়া থেকে আটকাতে পারে না। সেই প্রেক্ষিতে, সকলকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, ফেস কভার ব্যবহার করতে এবং একইসঙ্গে মাস্কের ভুল ব্যবহার রুখতে।


এই মর্মে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জারি করা বাড়িতে তৈরি ফেস মাস্ক ব্যবহার আগের নির্দেশিকার উল্লেখ করেন ডিজিএইচএস। সেখানে বলা হয়েছে, ফেস মাস্ক ব্যবহার করা এখন ভারতে বাধ্যতামূলক। ওই নির্দেশিকাটি গত এপ্রিল মাসে জারি করেছিল কেন্দ্র। সেখানে বলা হয়েছিল, কী করে বাড়িতেই ওই প্রোটেকটিভ ফেস কভার তৈরি করা যাবে।


সেখানে বলা হয়েছিল--


মাস্ক পরার আগে, সকলকে ন্যূনতম ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।


অ্যালকোহল-জাত স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।


ফেস কভার এমন হতে হবে যাতে একজনের মুখ, নাক ও থুতনি পুরোটাই ঢাকা পড়ে।


প্রতি ৮ ঘণ্টা অন্তর মাস্ক পরিবর্তন করতে হবে। ভিজে মাস্ক পরা অনুচিত।


মাস্ক ব্যবহারের পর, তাকে খোলা জায়গায় ফেলা যাবে না। কোনও ঢাকনা-যুক্ত জঞ্জালপাত্রে ফেলতে হবে।


মাস্ক ফেলার অবশ্যই হাত ধুতে হবে। ফেস মাস্ক অন্য কারও সঙ্গে ভাগ করা যাবে না।


প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়াল। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৮৪ জনের। একদিনে মৃত ৫৮৭। কমল দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩৭ হাজার ১৪৮।
দেশে মোট আক্রান্ত ১১ লক্ষ ৫৫ হাজার ১৯১। একদিনে সুস্থ ২৪ হাজার ৪৯১ জন। মোট সংক্রমণ মুক্ত ৭ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৭৮। আশার কথা, দেশে মৃত্যু হার কমে হয়েছে ২.৪৩ শতাংশ। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২.৭২ শতাংশ।