দ্যা ল্যান্সেট মেডিক্যাল জার্নাল জানিয়েছে, টিকার নাম এজেডি১২২২। প্রথম পর্যায়ে মানব শরীরে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এই টিকা। স্বেচ্ছাসেবীদের কারও শরীরে গুরুতর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি, উল্টে তৈরি হয়েছে করোনা রুখে দেওয়া অ্যান্টিবডি এবং টি-সেল। গবেষকরা বলেছেন, গুরুতর নয়, যাঁদের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের শরীরে অল্প কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে, প্যারাসিটামলের মত ওষুধ খেলেই সেগুলির বেশিরভাগই ঠেকিয়ে দেওয়া সম্ভব।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউটের প্রধান আদার পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, অক্সফোর্ডের টিকা যেভাবে ইতিবাচক ফল পেয়েছে তাতে তাঁরা অত্যন্ত খুশি। ভারতীয়দের ওপর এই পরীক্ষা শুরুর জন্য ট্রায়ালের লাইসেন্স পেতে তাঁরা খুব দ্রুত আবেদন করবেন। লাইসেন্স পেয়ে গেলেই এ দেশের মাটিতে ট্রায়াল শুরু হবে। পাশাপাশি বিরাট পরিমাণে টিকা তৈরিও শুরু হতে চলেছে।
ভারতেও শুরু হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনের মানব দেহে পরীক্ষা। দিল্লি এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ের ডেটা পেতে গবেষকদের অন্তত ৩ মাস লাগবে।
অক্সফোর্ডের টিকার মানব দেহে পরীক্ষা শুরু হয় ২৩ এপ্রিল থেকে। এছাড়া আরও ১০০-র বেশি করোনা টিকা গোটা বিশ্বে তৈরি হচ্ছে।