নয়াদিল্লি: দিল্লি মেট্রোর নিরাপত্তায় এবার বিশেষ বন্দোবস্ত করছে সিআইএসএফ। যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ভার দেওয়া হচ্ছে বেলজিয়ান ম্যালিনয়েস প্রজাতির একটি সারমেয়কে। এই বিশেষ সারমেয়টির নাম ‘পোলো’। এই প্রজাতির কুকুরই ওসামা বিন লাদেনকে চিহ্নিত করে মার্কিন নেভি সিল বাহিনীকে সাহায্য করেছিল। এবার সেই প্রজাতির কুকুরই মোতায়েন করা হচ্ছে দিল্লি মেট্রোর নিরাপত্তায়। এই প্রথম ভারতের রাজধানীতে কোনও জায়গার নিরাপত্তার দায়িত্ব হচ্ছে এই প্রজাতির সারমেয়কে।

‘পোলো’-র প্রশিক্ষক এম মরিসেলভম সংবাদসংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, ‘এই একটা কুকুরই তিন বিভাগে দক্ষ। গন্ধ শুঁকতে পারে, আক্রমণ করতে পারে এবং পাহারা দিতে পারে। জার্মান শেফার্ড বা ল্যাব্রাডরের মতো প্রজাতির কুকুর শুধু যে কোনও একটা কাজই করতে পারে।’

সিআইএসএফ একটা কুকুরের জন্য একজন প্রশিক্ষকই নিয়োগ করে। কিন্তু পোলো বিশেষ ধরনের কুকুর। তাই ওর জন্য দু’জন প্রশিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। এই বিশেষ সারমেয়টির বিষয়ে কে৯ দলের হেড ইন্সপেক্টর রাজেন্দ্র পিলানিয়া জানিয়েছেন, ‘তৎপরতা, আক্রমণের দক্ষতা এবং গন্ধ শোঁকার ক্ষমতার জন্য সবার চেয়ে আলাদা পোলো। অন্য প্রজাতির কুকুররা যেখানে চার থেকে সাত কিলোমিটার হাঁটতে পারে, সেখানে পোলো ৪০ কিলোমিটার হাঁটতে পারে। ওর দুর্দান্ত গন্ধ শোঁকার ক্ষমতার জন্য সন্ত্রাসবাদী হামলার ক্ষেত্রেও সাহায্য করতে পারে। ওকে রাজীব চক, কাশ্মীরি গেটের মতো স্টেশনে মোতায়েন করা হতে পারে। আমরা চুরির ঘটনার ক্ষেত্রেও পোলোকে ব্যবহার করতে পারি।’

মঙ্গলবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আনলক ৪। আনলকের এই পর্যায়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দিল্লি মেট্রোর নিরাপত্তার ভার রয়েছে সিআইএসএফ-এর কে৯ দলের উপর। এতদিন এই দলে ছিল ৬১টি কুকুর। এবার তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে ‘পোলো’।