পাঁচ মাস এই স্কুলে শিক্ষকতা করেন শুভ্রা মুখোপাধ্যায়। সেই সময়ে গ্রামেরই একটি মাটির দোতলা বাড়িতে ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকতেন শুভ্রা। কয়েক দশক পেরিয়েছে। কিন্তু, স্মৃতির পলেস্তারা সরিয়ে আজও বাড়ির মালিক দম্পতি যেন স্পষ্ট দেখতে পান সে সব দিন। তাঁদের কথায়, 'একেবারে ঘরোয়া সম্পর্ক ছিল। প্রণববাবু যে কয়েকবার এসেছেন, তাঁর জীবনধারণ ছিল একেবারে সাধারণ। তৃপ্তি করে খেতেন চাল কুমড়োর তরকারি, ঝিঙে আলু পোস্ত। কখনও তাঁর ব্যবহারে মনে হয়নি তিনি একজন বড় মাপের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।' রেখাদেবী বলছেন, 'আমার মেয়ে হওয়ার সময় সমস্যা হয়। তখন শুভ্রাদেবী হাসপাতালে নিয়ে যান। আমার সদ্যোজাত মেয়েকে স্নান করিয়ে স্কুলে যেতেন শুভ্রাদেবী।'
ওই দম্পতি আরও জানান, রাষ্ট্রপতি হবার পর প্রণববাবু আর বীরসিংহে না এলেও, এসেছিলেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। তিনি এসে ছোটবেলার স্মৃতি রোমন্থন করে গিয়েছেন। বাড়ির মালিক রাধানাথ চক্রবর্তী কর্মসূত্রে তখন দুর্গাপুরে থাকতেন। মাঝে মাঝে আসতেন বাড়িতে। বার দুয়েক তাঁর প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির প্রয়াণের পর স্মৃতিকাতর তিনি।
২০১৫-য় মৃত্যু হয় প্রণব-পত্নী শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের। এবার চলে গেলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তাঁদের প্রথম জীবনের স্মৃতি আঁকড়ে বীরসিংহ গ্রাম।