কোচি: কয়েকমাস আগে একটি অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে নৃশংসভাবে মেরে ফেলা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল সারা দেশ। ফের সেই কেরলেই নিরীহ প্রাণীর উপর নির্মম অত্যাচারের ঘটনা দেখা গেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড়।

এই নৃশংস ঘটনা ঘটে গতকাল সকাল ১১টা নাগাদ। কেরলের এর্নাকুলামের এক ব্যক্তি গাড়ির পিছনে দড়ি দিয়ে বেঁধে একটি কুকুরকে রাস্তা দিয়ে টেনে নিয়ে যান। এই ঘটনার জেরে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২৮ ধারায় কোনও পশু বা প্রাণীকে হত্যা বা আঘাত করা, ৪২৯ ধারায় গবাদি পশু বা প্রাণীকে হত্যা বা অঙ্গচ্ছেদ করা, ১৯৬০ সালের প্রাণীদের উপর অত্যাচার বন্ধ সংক্রান্ত আইনের ১১ (১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়। তবে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে মোটর ভেহিকলস দফতর। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এমনকী, ওই ব্যক্তির লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে।

চেঙ্গামান্দ থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ইউসুফ (৬২)। তাঁর দাবি, কুকুরটি বাড়ির আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এবং লোকজনকে জ্বালাতন করছিল। সেই কারণে তিনি কুকুরটিকে দূরে কোথাও ছেড়ে দিতে যান। কুকুরটিকে গাড়ির পিছনে বেঁধে নিয়ে যান। যে গাড়িটিতে কুকুরটিকে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়, সেটির মালিক ইউসুফই। তিনিই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।’

অখিল নামে এক বাইক আরোহী এই নৃশংস ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি একটি হাসপাতাল থেকে ফিরছিলাম। সেই সময় এই ঘটনা চোখে পড়ে। প্রথমে মনে হয়েছিল, কুকুরটি নিজেই গাড়ির পিছনে ছুটছে। কিন্তু পরে কাছাকাছি গিয়ে দেখতে পাই, কুকুরটিকে গাড়ির পিছনে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পশুপ্রেমীরা কুকুরটিকে উদ্ধার করেন। তাঁরাই কুকুরটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। এই নিরীহ প্রাণীটি বেশ ভালই জখম হয়েছে। তবে চিকিৎসার পর তার শারীরিক অবস্থা একটু ভাল।