কলকাতা: প্রায় ২ মাস পর ভারতের আকাশে উড়ল যাত্রীবাহী বিমান। দিল্লি, মুম্বই, পুণে, রায়পুর, ভুবনেশ্বর প্রভৃতি বিমান বন্দরে আবার যাত্রীদের ভিড়। ভোররাতে ট্রলি-ব্যাগ হাতে বিমান সেবিকারা কাজে যোগ দিলেন। কিন্তু ছবিটা কিছুটা হলেও আলাদা। 
লকডাউনের মধ্যেই শুরু হল অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। তাই করোনা সতর্কতা মেনেই যাত্রীরা উড়ান ধরেছেন। লাইন দিতে হয়েছে সামাজিক দূরত্ব মেনেই। প্রত্যেকের মুখে মাস্ক, ফেস শিল্ড। বিমানবন্দরে চলছে থার্মাল চেকিং।  হাতে গ্লাভস অনেকের। 



আজ দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু সহ দেশের বিভিন্ন শহরের মধ্যে যে সব বিমান চলাচল করেছে তাতে যাত্রীসংখ্যা অনেকটাই কম।  বিমানে সামাজিক দূরত্ব মেনেই বসতে হয়েছে যাত্রীদের।  বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ স্পর্শহীন বিমানযাত্রার ব্যবস্থা চালু করেছে।  যাতে বিমানে চেকিং-এর পর ওঠা থেকে নামা পর্যন্ত যাত্রীর সঙ্গে কারও স্পর্শ হবে না। বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিমানবন্দরে নামার পর যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোনও সন্দেহ দেখা দিলে কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

 সারা দেশে পরিষেবা চালু হলেও দু’একটি রাজ্য ব্যতিক্রম। এ রাজ্যে কলকাতা ও বাগডোগরা বিমানবন্দরে ওই পরিষেবা চালু হচ্ছে ২৮ মে।  যেহেতু কলকাতা বিমানবন্দর এখনও খোলেনি, তাই ত্রিপুরাতেও চালু হয়নি বিমান পরিষেবা।  অন্ধ্রপ্রদেশে আগামীকাল থেকে শুরু হবে বিমান পরিষেবা। তবে তার জন্য নির্দিষ্ট শর্তের কথা জানিয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে অন্ধ্র সরকার।  করোনা সংক্রমণের সময় দেশীয় বিমান পরিষেবা চালু নিয়ে আপত্তি ছিল কয়েকটি রাজ্যের। 



উমপুন পরবর্তী ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় রাজ্য কয়েকদিন পর কলকাতা বিমানবন্দর থেকে পরিষেবা চালুর পক্ষে মত জানিয়েছিল। সেই মতো ২৮ মে শুরু হচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দরে পরিষেবা। মুম্বইয়ের মতো ব্যস্ত বিমানবন্দরে আপাতত ২৫ জোড়া উড়ান চলবে।  চেন্নাই বিমানবন্দরে ২৫টি বিমান নামতে পারবে।  হায়দরাবাদে  ১৫ জোড়া বিমান নিয়ে চালু হল পরিষেবা।