নয়াদিল্লি: সংসদীয় গণতন্ত্রে ‘সক্রিয়’ বিরোধী পক্ষের গুরুত্বের উল্লেখ করে শাসক ও বিরোধী শিবির, এই বিভাজন ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার সপ্তদশ লোকসভার সূচনায় সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি সোজাসুজি বিরোধীদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার বার্তা দেন। বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী পক্ষ ও একটি সক্রিয় বিরোধী শিবিরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিরোধীরা যেন তাঁদের সংখ্যা নিয়ে মাথা না ঘামান। আশা করব, তাঁরা মুখ খুলে সরব হবেন, সভার কাজকর্মে অংশগ্রহণ করবেন। এই অধিবেশন সফল হয়ে উঠবে। বিরোধীদের প্রতিটি শব্দ ‘মূল্যবান’ বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
সব সাংসদকে তিনি অধিবেশন চলাকালে দেশের কথা মাথায় রাখতে, বৃহত্তর দেশবাসীর স্বার্থ সংক্রান্ত ইস্যু উত্থাপন করতেও বলেন। মোদি বলেন, আমরা যখন সংসদে আসব, শাসক ও বিরোধী, এই পরিচয় ভুলে গিয়ে নিরপেক্ষ মানসিকতা নিয়ে সব বিষয় বিবেচনা করে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করা উচিত।
স্বাধীনতার পর নতুন লোকসভায় এই প্রথম সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মহিলা সাংসদ থাকছেন বলেও উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা ঐতিহাসিক ব্যাপার। এও বলেন, আমার অভিজ্ঞতা হল, সংসদের কাজ মসৃণ ভাবে এগলে ভারতবর্ষের মানুষের নানাবিধ আশা-আকাঙ্খা, প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হব আমরা।
তাঁর সরকার প্রথম মেয়াদে ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ মন্ত্র মাথায় রেখে কাজ করেছে বলে মানুষ তাকে ভরসা করে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসিয়েছে বলেও জানান মোদি। বলেন, এর ফলে বহু দশক বাদে একটা সরকার স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়েছে।