এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি একার শক্তিতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক আসন পায়নি। ২৮৮ সদস্যের বিধানসভায় ২০১৪-র তুলনায় ১৭টি কমে তাদের আসন দাঁড়িয়েছে ১০৫। শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা ৬৩ থেকে কমে হয়েছে ৫৬। শরদ পওয়ারের এনসিপি, কংগ্রেসের আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৫৪ ও ৪৪। এই প্রেক্ষাপটে শিবসেনার সাফ কথা, ক্ষমতা বন্টন করতে হবে ৫০-৫০ ফর্মূলায়। অর্থাত আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবে বিজেপি, শিবসেনা। দলের যুবনেতা আদিত্য ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি করেছে তারা। রাউত আজ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, (শিবসেনা প্রধান) উদ্ধব ঠাকরে স্পষ্ট করেছেন, বিজেপির জন্য আমরা অপেক্ষা করব, কিন্তু অন্য বিকল্পের পথে হাঁটতে আমাদের বাধ্য করবেন না। আমরা সেই পাপ করতে চাই না। রাজনীতিতে কেউই সাধু নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে উদ্ধবও বিজেপিকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের আগে তাঁর, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশের আলোচনায় ৫০-৫০ ফর্মূলায় ‘ঐকমত্য হয়েছিল’। একাধিক শিবসেনা নেতার প্রস্তাব, বিজেপি পালা করে মুখ্যমন্ত্রী পদ ভাগাভাগির প্রস্তাবে রাজি হোক, যদিও তাতে সম্মতি দেওয়ার কোনও লক্ষণ বিজেপির দিক থেকে এখনও নেই। বিজেপি শিবসেনাকে উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ অফার করেছে।
এদিন বিজেপি, শিবসেনার তরফে রাজ্যপালের সঙ্গে আলাদা করে সাক্ষাত্ ঘিরে দিনভর জল্পনা থাকলেও দুদলেরই দাবি, এটা দেওয়ালি উপলক্ষ্যে নিছকই সৌজন্য বৈঠক। তার মধ্যেই সঞ্জয় রাউত আজ দলীয় মুখপত্র সামনা-য় নিজের কলামে লেখেন, ২০১৪-র ৬৩-র তুলনায়
এবার আসন কমে ৫৬ হয়েছে, কিন্তু মহারাষ্ট্রের ‘ক্ষমতার রিমোট কন্ট্রোল’ শিবসেনার হাতেই আছে।