চন্দ্রবাবুর সমালোচনা করে অমিত আরও বলেছেন, ‘আপনার দুর্নীতিতে অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষ তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা আপনার ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে উত্তরাধিকারী হিসেবে দেখতে চান না। তাই মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার জন্যই আপনি এনডিএ ছেড়েছেন। তাঁর জন্য আমাদের দরজা পাকাপাকিভাবে বন্ধ।’ বিজেপি সভাপতি আরও বলেছেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইনে যে ১৪টি মূল প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি ১০ বছরের মধ্যে পূরণ করার কথা থাকলেও, এনডিএ সরকারের পাঁচ বছরেই ১০টি প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ ২২টি জাতীয় প্রতিষ্ঠান এবং লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ পেয়েছে। চন্দ্রবাবু এনডিএ-তে থাকার সময় রাজ্যের জন্য কত টাকা পেয়েছিলেন, সেটা মানুষকে জানানো উচিত। আমরা অন্ধ্রপ্রদেশকে ৫.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছি। চন্দ্রবাবু শুধু তাঁর ছেলে নর লোকেশ ছাড়া রাজ্যকে আর কিছুই দেননি।’ টিডিপি-র জন্য এনডিএ-র দরজা পাকাপাকিভাবে বন্ধ, জানালেন অমিত শাহ
Web Desk, ABP Ananda | 04 Feb 2019 08:24 PM (IST)
ছবি সৌজন্যে ট্যুইটার
অমরাবতী: চন্দ্রবাবু নাইডুর গড়ে দাঁড়িয়ে তাঁকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তিনি চন্দ্রবাবুকে ‘ইউ টার্ন সিএম অফ দ্য কান্ট্রি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। টিডিপি-র জন্য এনডিএ-র দরজা পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। আজ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার পালাসা থেকে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি কান্না লক্ষ্মীনারায়ণের রাজ্যব্যাপী বাসযাত্রার সূচনা করেন অমিত। এরপরেই তিনি চন্দ্রবাবুকে আক্রমণ করে বলেন, ‘তিনি ১৯৭৮ সালে কংগ্রেস বিধায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সালে টিডিপি-তে যোগ দেন। ক্ষমতা ভোগ করার জন্য তিনি ১৯৯৮ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় এনডিএ-তে যোগ দেন। ২০০৪ সালে যখন বিজেপি হেরে যায়, তখন তিনি আবার নৌকা বদল করেন। পরের ১০ বছর তাঁকে ধুলো চাটতে হয়। নরেন্দ্র মোদির বিপুল জনপ্রিয়তা দেখে ২০১৪ সালে তাঁর পায়ে পড়ে এনডিএ-তে ফেরেন চন্দ্রবাবু। যখন তিনি বুঝতে পারলেন, অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষ তাঁর দুর্নীতি ও অপশাসনে ক্ষুব্ধ, তখন তিনি এনডিএ থেকে বেরিয়ে এসে বিজেপি নেতৃত্বকে তোপ দাগা শুরু করলেন। এরপর তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে তেলঙ্গানায় নির্বাচনে লড়াই করেছেন। তেলঙ্গানায় সেই জোট মুখ থুবড়ে পড়ার পর তিনি কংগ্রেসের সঙ্গ ছেড়ে তথাকথিত মহাজোটের নেতা হয়ে উঠতে চাইছেন।’