আজ সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আধিকারিকদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। সেই বৈঠকেই শনিবার ভ্যাকসিনের ড্রাই রানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর দেশের চারটি রাজ্যে ভ্যাকসিনের ড্রাই রান হয়। সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়নি। ফের ড্রাই রানের মাধ্যমে টিকাকরণের প্রক্রিয়াগত সমস্যা দূর করার বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে সরকার।
সূত্রের খবর, শনিবার দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে ড্রাই রান হবে। এই প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছাসেবকদের ডামি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। টিকার বিষয়ে সরকার অনুমোদন দেওয়ার পর যাতে সরবরাহ ও টিকাকরণের ক্ষেত্রে সমস্যা না হয়, সেটাই ড্রাই রানের মাধ্যমে দেখে নিতে চাইছে সরকার।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘চারটি রাজ্যে দু’দিন ধরে যে ড্রাই রান চালানো হয়েছে, তাতে সন্তোষজনক ফল পাওয়া গিয়েছে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সরবরাহ ও প্রয়োগ করার বিষয়ে যে ব্যবস্থা করা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।’
নতুন বছরেই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে আশায় গোটা দেশের মানুষ। আজ ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল ড. ভি জি সোমানি জানিয়েছেন, ‘আশা করি নতুন বছরেই আমরা ভ্যাকসিন হাতে পেয়ে যাব।’ তাঁর এই বক্তব্যে ভ্যাকসিন নিয়ে আশা বেড়ে গিয়েছে।
এদিকে, আজ দেশে করোনায় সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৬.০৪ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সারা বিশ্বে এটাই করোনায় সর্বোচ্চ সুস্থতার হার। ভারতে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৮.৬ লক্ষ মানুষ। করোনা আক্রান্ত হওয়া এবং সুস্থ হয়ে ওঠার মধ্যে ব্যবধান বেড়ে হয়েছে ৯৬,০২,৬২৪। বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয়েছে ২.৫৭ লক্ষ। মোট করোনা আক্রান্তের মধ্যে মাত্র ২.৫১ শতাংশের এখন চিকিৎসা চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২১,৮২২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৬,১৩৯ জন। ফলে ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার আগেই সংক্রমণ রোখার ক্ষেত্রে সাফল্য পাচ্ছে ভারত।