কলকাতা: আজ চতুর্থী। প্রতিপদ থেকে শুরু হয়েছে নবরাত্রি উৎসব। এই ৯ দিন দেবী নানারূপে পূজিত হন। একেক দিনের পুজো পদ্ধতি ও মাহাত্ম্য একেকরকম।  চতুর্থীর দিন দেবীকে কুষ্মাণ্ডা নামে পুজো করা হয়। বিশ্বাস,  এই দিন দেবী দুর্গা বিশ্বের স্রষ্টার রূপ গ্রহণ করেন। কুষ্মাণ্ডা রূপে দেবী সিংহের উপর অধিষ্ঠিত। দেবী এই রূপে দশ নয়, আট  হাতের অধিকারী। দেবীকে  বলা হয়, আদিশক্তি বা আদিস্বরূপ। গৌরবর্ণা দেবীর অঙ্গে অঙ্গে তাই সূর্যের মতো ছটা। তিনি সর্ব দুঃখহরণকারী।

বিশ্বাস, দেবীকে এই রূপে পুজো করলে, ধন, যশ, শক্তি লাভ হয়। পুরাণ বলে, এক কালে জগত সংসার বলে কিছুই ছিল না। শূন্য থেকে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেন দেবীই। যখন শ্রী বিষ্ণু সংসার সৃষ্টি করতে বসেন, তখন দেবীর হাসিতেই কেটে যায় অন্ধকার। উদ্ভাসিত হয় সংসার। সৃষ্টি হয় সব গ্রহ-নক্ষত্রের। অষ্টভুজা দেবীর হাতে থাকে, ত্রিশূল, ঢাল, তলোয়ার, তির-ধনুক প্রভৃতি অস্ত্র।  হাতে ধরা দুই পাত্রের একটিতে থাকে মধু, অন্যটিতে রক্ত। আরেক হাতে অভয় দেন দেবী।
পুজোর রীতি: 

  • প্রথমে প্রতিষ্ঠিত ঘটের পুজো করে, দেবী ও তাঁর পরিবারের সব দেব-দেবীকে পুজো করতে হয়।

  • এরপর করতে হয় কুষ্মাণ্ডার পুজো।

  • এরপর মহাদেবের পুজো করতে হয়।

  • এই পুজো করলে দুর্দশার সময় শেষ হয় বলে ভক্তের বিশ্বাস।