আজ মহাষষ্ঠী। সল্টলেকে ইজেডসিসি-র ভার্চুয়ালে পুজো উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর। দেবেন শুভেচ্ছা বার্তাও।


কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর, এই পুজোতেও বাতিল হল পুজোর দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল ভাষণ ও ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচের অনুষ্ঠান পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী থাকছে।

সল্টলেকের EZCC-তে দুর্গাপুজোর আয়োজনে এবার সরাসরি যুক্ত হয়েছে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চা এবং সাংস্কৃতিক সেল। তবে এই পুজো সফল করতে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছে গোটা বিজেপি। পুজোর আয়োজন দেখভাল করতে ঘন ঘন আসছেন মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মতো হেভিওয়েট নেতারা। বুধবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
তবে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর এই পুজোতেও বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে। ভিড় এড়াতে, পুজোমণ্ডপের চারপাশ ঘিরে দেওয়া হয়েছে। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুকুল রায়।

পশ্চিমবঙ্গে জনসংযোগের জন্য দুর্গাপুজোর থেকে ভাল মাধ্যম আর কীই বা হতে পারে! আর সম্ভবত সেই কারণে, গতবারের পর এবারও, দুর্গাপুজোকে হাতিয়ার করেই জনসংযোগের আলো কাড়তে ময়দানে বিজেপি। গতবছর সল্টলেকের বি জে ব্লকে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেছিলেন অমিত শাহ। আর এবার বিধানসভা ভোটের আগে, এবার বাঙালির আবেগকে হাতিয়ার করে, মন জয়ের জন্য ময়দানে খোদ নরেন্দ্র মোদি।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, যে কেউ পুজো করতে পারে। কিন্তু, দুর্গাপুজো নিয়ে সরকারি জায়গা ব্যবহার করে পুজো করছে। এটা অবাক লাগছে। আমরা তো পুজো করি। দল হিসেবে নয়। এটা তো রাজনীতি। এসব করে রাজ্যে কোনও লাভ হবে না। মা সন্তানদের চেনে। সন্তানরাও মা-কে চেনে।