নয়াদিল্লি: ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের। ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গানা ও মিজোরাম, এই ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র কৌতূহল রয়েছে। বলা হচ্ছে, ২০১৯ এর সাধারণ নির্বাচনের আগে এই পাঁচ রাজ্যের ভোট হতে চলেছে সেমি ফাইনাল। এর ফলাফল থেকে ২০১৯-এ হাওয়া কোনদিকে বইবে, তার একটা আভাস মিলতে পারে। আজ প্রতীক্ষার ইতি ঘটিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও পি রাওয়াত সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন, ছত্তীসগঢ়ে ২ দফায় ভোটগ্রহণ হবে। প্রথমে মাও-উপদ্রুত এলাকায় ১২ নভেম্বর ভোট হবে। দ্বিতীয় দফার ভোট ২০ নভেম্বর। মধ্যপ্রদেশ ও মিজোরামে এক দফায় ২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। রাজস্থান ও তেলঙ্গানায় এক দফায় ৭ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ৫ রাজ্যে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হবে। জানুয়ারিতে শেষ হচ্ছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ের বিধানসভার মেয়াদ। আজ থেকেই ৫ রাজ্যে নির্বাচনী বিধি চালু হয়ে যাচ্ছে। ৫ রাজ্যেই ১১ ডিসেম্বর বিধানসভা ভোটের গণনা হবে। সমস্ত বুথেই হবে ভিডিওগ্রাফি।
এদিন কমিশনের সাংবাদিক সম্মেলনের সময় বদল নিয়ে যে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে রাওয়াত জানিয়েছেন, বেশ কিছু বাধ্যবাধকতার জন্য সময় পরিবর্তন করতে হয়েছে। ভোটার তালিকা সংক্রান্ত নথি তৈরির জন্য সময় বদল করা হয়েছে। তালিকা সংক্রান্ত নথি তৈরির জন্য সময় লেগেছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা দাবি করেন, কমিশনের বেলা সাড়ে বারোটায় সাংবাদিক বৈঠক করে চার রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে দেওয়া হয় দুপুর তিনটেয়। দুপুর একটায় মোদী যাতে রাজস্থানে ভাষণ দিতে পারেন, সম্ভবত সেজন্যই কমিশনের সাংবাদিক সম্মেলন স্থগিত রাখা হয়। বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করে কংগ্রেস। সুরজেওয়ালা ট্যুইটও করেন যে, ৫ রাজ্যে ভোটের দিনক্ষণ জানাতে সাড়ে ১২টায় সাংবাদিক বৈঠকের কথা প্রথমে বলল কমিশন। দুপুর একটায় রাজস্থানের আজমেঢ়ে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আচমকা কমিশন সাংবাদিক বৈঠক বেলা তিনটেয় পিছিয়ে দিল। এই কি কংগ্রেসের স্বাধীন চরিত্র? আপনারাই বুঝুন!