লখন্ডওয়ালার যে ফ্ল্যাট থেকে সুনীতার দেহ পাওয়া গিয়েছে, সেখানে ফ্যাশন ডিজাইনার তাঁর মডেল ছেলে ও তাঁর প্রেমিকাকে নিয়ে ভাড়ায় থাকতেন। তবে তাঁদের বাড়ি থেকে মাঝেমধ্যেই কথা কাটাকাটির আওয়াজ আসত।
প্রাথমিক তদন্তের পর ওশিয়ারা থানার পুলিশ জানিয়েছে, সুনীতার মডেল ছেলে লক্ষ্য মাকে বেধড়ক মেরে বাথরুমে আটকে রেখে দেন। পরে বাথরুমের মধ্যে পা পিছলে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান সুনীতা। তার জেরেই মৃত্যু হয় ফ্যাশন ডিজাইনারের। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, মা, ছেলে এবং তাঁর প্রেমিকা মাঝেমধ্যেই গাঁজা বা চরসের মতো মাদকও নিতেন।
বুধবার মাদক নেওয়ার পর মা-ছেলের মধ্যে টাকা-পয়সা নিয়ে বচসা হয়। তখনই রাগের মাথায় মায়ের সঙ্গে মারপিট করেন ছেলে। এরপর ছেলেই মাকে বাথরুমে ধাক্কা দিলে, সুনীতা পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান। পরের দিন সকালে দরজা খুললে ছেলে দেখেন বাথরুমের মধ্যে মায়ের দেহ পড়ে রয়েছে।
মাকে ওই অবস্থায় দেখে ঘাবড়ে যান ছেলে। পরে অ্যাম্বুলেন্স ডাকলে তাঁরা দেহ নিতে অস্বীকার করেন তাঁরা। এরপরই পুলিশে খবর দেন লক্ষ্য। প্রথমে কিছু স্বীকার না করলেও, পরে নিজের দোষ কবুল করেন লক্ষ্য।