নয়াদিল্লি: এয়ারসেল-ম্যাক্সিস অর্থপাচার মামলায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে দিল্লির একটি আদালতে চার্জশিট পেশ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই চার্জশিটে চিদম্বরমের ছেলে কার্তির চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এস ভাস্করমন, এয়ারসেলের প্রাক্তন সিইও ভি শ্রীনিবাসন, ম্যাক্সিস কর্তা অগাস্টাস রালফ মার্শাল, মালয়েশিয়ার সংস্থা অ্যাস্ট্রো অল এশিয়া নেটওয়ার্কস, এয়ারসেল টেলিবেঞ্চারস লিমিটেড, ম্যাক্সিস মোবাইল সার্ভিসেস, বুমি আর্মাডা বেরহাদ, বুমি আর্মাডা নেভিগেশনেরও নাম আছে। আদালত জানিয়েছে, ২৬ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হবে।


২০০৬-এর মার্চে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন চিদম্বরমের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ডের মাধ্যমে ১.১৬ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ ওঠে। চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে এই মামলায় কার্তির বিরুদ্ধে আগেই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। পরে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটও পেশ করা হয়েছে।

ইডি-র পক্ষ থেকে চার্জশিটে বলা হয়েছে, ‘ভারত সরকারের নিয়ম ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত নীতি অনুসারে, ২০০৬ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরমের ৬০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করার অধিকার ছিল। গ্লোবাল কমিউনিকেশন ও সার্ভিসেস হোল্ডিংস লিমিটেডের বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব ছিল প্রায় ৩,৫৬০ কোটি টাকা। এই বিনিয়োগের প্রস্তাবটি আর্থিক বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বিবেচনার জন্য পাঠানো উচিত ছিল। কিন্তু সেটা করা হয়নি। চিদম্বরম চক্রান্ত করে এই বিনিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।’