নয়াদিল্লি: লাভজনক পদ বিতর্কে আম আদমি পার্টির ২৭ জন বিধায়ককে স্বস্তি দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। দিল্লির বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন নিযুক্ত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট আপ বিধায়কদের বিরুদ্ধে হাসপাতালগুলির প্রশাসনিক কাজকর্মে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। তবে নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগ খারিজ করে দেয়। এবার রাষ্ট্রপতিও জানিয়ে দিলেন, এই পদ লাভজনক নয়।


রাষ্ট্রপতির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আপ। দলীয় মুখপাত্র দিলীপ পাণ্ডে বলেছেন, ‘বিজেপি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করতে চাইছে। এখন সিবিআই-তে যা হচ্ছে, সেটা এর একটা উদাহরণ। দিল্লিতে আপ সরকারের বিরুদ্ধেও একই আচরণ করেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ও অন্যান্য মন্ত্রীদের বাসভবনে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এর আগে অন্য একটি লাভজনক পদ বিতর্কে ২১ জন বিধায়ককে বরখাস্তের চেষ্টা হয়েছিল। তবে এবার রাষ্ট্রপতি আপ বিধায়কদের বরখাস্তের আর্জি খারিজ করে দিয়ে সাংবিধানিক মর্যাদা বজায় রেখেছেন।’

২০১৬ সালের ২১ জুন বিভোর আনন্দ নামে এক আইনের ছাত্র নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন, ২০১৫ সালের মে মাসে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সব সরকারি হাসপাতালকে নির্দেশ দেন, রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সনদের জন্য আলাদা দফতরের ব্যবস্থা করতে হবে। এই পদ লাভজনক। তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, এই পদ লাভজনক নয়। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি জানান আনন্দ। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে আপ বিধায়কদের বরখাস্তের আর্জি খারিজ করে দিলেন রাষ্ট্রপতি।