কোটা (রাজস্থান): সিবিআই রাফাল যুদ্ধবিমান ডিলের তদন্ত শুরু করতে চলেছে, এই ভয়েই রাত একটায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার প্রধান অলোক বর্মাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করলেন রাহুল গাঁধী। আজ মহিলা কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে মোদী-বিরোধী প্রচারে সুর চড়িয়ে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, সিবিআই ডিরেক্টরকে অপসারিত করতে পারে একমাত্র তিন সদস্যের কমিটি, যাতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রধান বিচারপতি ও বিরোধী নেতা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বাকিদের সঙ্গে কোনও পরামর্শ না করেই একাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গতকালও রাহুল ঝালোয়ারে একই অভিযোগ করেন। যদিও রাফাল ডিল নিয়ে তদন্ত করতে চেয়েছিলেন বলেই বর্মাকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ গতকালই বস্তাপচা বলে খারিজ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
মোদী প্রতিরক্ষামন্ত্রক, ভারতীয় বায়ুসেনার সঙ্গে আলোচনা না করেই রাফাল চুক্তি বদলে দেন বলে অভিযোগ করেন রাহুল। বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, বায়ুসেনা ওই বরাত নিয়ে কয়েক বছর ধরে কাজ করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষামন্ত্রক, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বা বায়ুসেনাকে প্রশ্ন না করেই ৩০০০০ কোটি টাকার চুক্তি বদলে দেন। সিবিআই এ নিয়ে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছিল, তাই প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়ে রাত একটায় সিবিআই অধিকর্তাকে সরিয়ে দিলেন।
আজও মোদীকে ‘চৌকিদার’ বলে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন যে, দেশের মানুষ জেনে যাবে, ‘চৌকিদার’ ৩০০০০ কোটি টাকা চুরি করেছেন।
মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি দ্বন্দ্ব, সংঘাতে জড়ানো বর্মা ও সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা, দুজনকেই ছুটিতে পাঠায়। জেটলির দাবি, কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের (সিভিসি) সুপারিশ মেনেই সরকার দুজনকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।