নয়াদিল্লি: দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে অপরিশোধিত পাম তেলের আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করল কেন্দ্র। আজ থেকে নতুন আমদানি শুল্ক চালু হবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। পাশাপাশি, অন্যান্য পাম তেলেও আমদানি শুল্ক সাড়ে ৭ শতাংশ কমানো হয়েছে। বর্তমানে ২০০ ছুঁইছুঁই ভোজ্য তেলের দাম। পাম তেলের আমদানি শুল্ক হ্রাসের কারণে ভারতের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
রাজস্ব বিভাগ কর্তৃক জারি নির্দেশিকা অনুসারে, অপরিশোধিত পাল তেলের আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আমদানি শুক্ল লাগবে। বর্তমানে এর ওপর ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক রয়েছে। এক্ষেত্রে শুল্ক পাঁচ শতাংশ কমানো হয়েছে।  এভাবেই অন্য পাম তেলের ওপর আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৩৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। বর্তমানে এই হার ৪৫ শতাংশ। এর অর্থ অন্য পাম তেলে আমদানি শুল্ক ৭.৫ শতাংশ কমানো হয়েছে।
আশা করা হচ্ছে আগামী অক্টোবরে তৈলবীজের প্রথম খেপ বাজারে আসার পর ভোজ্য তেলের দাম আরও কমবে। কৃষকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে পাম তেলের ওপর আমদানি শুল্ক ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল রাখা হচ্ছে। যাতে  তৈল শষ্যের দামে এর কোনও রকম প্রভাব না পড়ে এবং কৃষকরা তাঁদের ফসলের ন্যয্য মূল্য পেতে পারেন। এজন্য ৩০ সেপ্টেম্বরের পর শুল্ক ফের বাড়ানো হতে পারে।
গত এক বছরে দেশে ভোজ্য তেলের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।  দেশের ভোজ্য তেলের প্রয়োজনের দুই-তৃতীয়াংশ আমদানির মাধ্যমে পূরণ হয়। বাণিজ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের মে মাসে দেশে পাম তেলের আমদানি ৪৮ শতাংশ বেড়ে হয় ৭,৬৯,৬০২ টন। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভোজ্য তেলের আমদানি হয় ভারতে। ২০২০-র মে মাসে ভারতে আমদানি হয়েছিল ৪,০০,৫০৬ টন পাল তেল। দেশের মোট ভোজ্য তেল আমদানির মধ্যে ৬০ শতাংশ পাম তেল। চলতি মাসের গোড়ায় পাম তেল সহ ভোজ্য তেলের জন্য ট্যারিফ ভ্যালু কমিয়েছিল। এই পদক্ষেপ দেশের বাজারে দাম কমাতে সহায়ক বলেই মত প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।