কলকাতা: প্রয়াত সাংবাদিক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। পরিবার সূত্রে খবর, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় কিছুদিন আগেই ভর্তি হন হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার রাত ৯টা ২৫-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জি ২৪ ঘণ্টার এডিটর। তাঁর মৃত্যুতে সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া।


হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার রাত ৯.২৫ মিনিটে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গত ১৪ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন তিনি। এরপর সেরেও উঠেছিলেন। হাসপাতাল থেকে ফিরেও এসেছিলেন বাড়িতে। কিন্তু ফের জ্বর আসতে শুরু করে। জ্বর না কমায় তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে ভেন্টিলেশন এবং পরে একমো সাপোর্ট দেওয়া হয়। রবিবার রাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। হাসপাতালে ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন। 



কবি শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণের দিন ট্যুইট করেছিলেন অঞ্জন। লিখেছিলেন, 'শঙ্খ ঘোষ চলে গেলেন... অপূরণীয় ক্ষতি হল বঙ্গ সংস্কৃতি জীবনের, আমার জন্য ব্যক্তিগত হাহাকার রেখে গেলেন..'। কে জানত, তার মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে চলে যাবেন অঞ্জন নিজেই।



১৪ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নিজেই ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন অঞ্জন। লিখেছিলেন, 'অবশেষে আমার কাছেও এল। কোভিড পজিটিভ। সতর্কতা হিসাবেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। সকলে সাবধানে থাকুন।'


১৭ এপ্রিল হাসপাতালের বেডে শুয়েই তিনি ট্যুইট করেন, 'ভোটের দিনটা মিস করছি। হাসপাতালের বেডে শুয়ে চ্যানেলের কাজকর্ম দেখা খুব একটা কাঙ্খিত মুহূর্ত নয়। তবে আর কোনও বিকল্পও নেই। সৌজন্যে কোভিড। নিউ নর্ম্য়ালে কাজ করার ধরনটাই এরকম।'


দীর্ঘ ৩৩ বছরের সাংবাদিক জীবনের অবসান। প্রেসিডেন্সি থেকে স্নাতক হন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ছিলেন তিনি। মাঝখানে ২৪ ঘণ্টা নিউজ চ্যানেল ছেড়ে আনন্দবাজার পত্রিকার ডিজিটালের দায়িত্ব নেন। এরপর গত বছর ফের তিনি জি ২৪ ঘণ্টা চ্যানেলের দায়িত্বে ফেরেন।