নয়াদিল্লি: একটি জার্মান গাড়ি সংস্থাকে ৫০০ কোটি টাকা জরিমানা করল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল বা এনজিটি। তাদের একটি ডিজেল চালিত গাড়ি এ দেশের বাতাস দূষিত করছে বলে এনজিটি জানিয়েছে। ট্রাইবুন্যালের চেয়ারপার্সন বিচারপতি আদর্শ কুমার গোয়েলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, ২ মাসের মধ্যে ওই গাড়ি সংস্থাকে জরিমানার টাকা জমা করতে হবে।

এর আগে এনজিটি সৃষ্ট একটি কমিটি ওই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার ওপর দূষণের জেরে ১৭১-৩৪ কোটি টাকা জরিমানা চাপায়। এই বেঞ্চ সেই পরিমাণ প্রায় ৪ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও গাড়ি সংস্থাটির যুক্তি, তারা কোনও আইনভঙ্গ করেনি, পরীক্ষায় যে ফল পাওয়া গিয়েছে তা রাস্তায় পরীক্ষা করার জেরে। আর সে জন্য কোনও মান নির্ধারিত নেই। কিন্তু ট্রাইবুন্যালের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, গাড়ি সংস্থার আপত্তি তারা ধর্তব্যের মধ্যে আনছে না।

ওই জরিমানার অর্থ দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার দূষিততম এলাকাগুলির বাতাসের উন্নতিতে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছে তারা।

গত বছর নভেম্বরে গ্রিন প্যানেল জানায়, সংশ্লিষ্ট গাড়ি সংস্থা তাদের ডিজেল গাড়িতে এক ধরনের চিট ডিভাইস ব্যবহার করে, যার ফলে রীতিমত বায়ু দূষণ হয়, অথচ প্রকাশ্যে তা ধরা পড়ে না। এ জন্য সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড বা সিপিসিবি-তে ১০০ কোটি টাকা প্রাথমিকভাবে জমা দেওয়ার জন্য সংস্থাটিকে নির্দেশ দেয় তারা। সিপিসিবি, ভারী শিল্প মন্ত্রক, অটোমোটিভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া ও ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি হয় একটি দল। তারাই দিল্লির বায়ু দূষণের জন্য ওই সংস্থার ওপর ১৭১.৩৪ কোটি টাকা জরিমানা বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

২০১৬ সালে ওই গাড়ি দিল্লিতে ৪৮.৬৭৮ টন নাইট্রোজেন অক্সাইড ছেড়েছে বলে জানা গিয়েছে।