নয়াদিল্লি: দেশের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা। শিল্পে মন্দা। সার্বিক আর্থিক বৃদ্ধির হার সাম্প্রতিক সময়ে সর্বনিম্নে। বাড়ছে বেকারত্ব। এমন সঙ্কটে বিকল্প পথ অনুসরণ করে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংহ। মোদি সরকারকে পাঁচ দাওয়াইওয়ালা প্রেসক্রিপশন ধরিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, বিমুদ্রাকরণ, নোটবন্দি ও জিএসটি যেভাবে দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর ক্ষতি করেছে, সেই ‘অসুখ’ সারতে সময় লাগবে। অন্তত তিন, চার বছর ভারতকে ধারাবাহিক পরিকল্পনা করে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও কৃষিক্ষেত্রের বিকাশ করে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এতে লাইনচ্যুত অর্থনীতি যেমন পথে আসবে তেমনই তৈরি হবে কর্মসংস্থান। ডঃ মনমোহনের পথে আদৌ মোদি সরকার হাঁটবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে ওয়াকিবহালমহল। তবে এরই মধ্যে বেকারত্ব নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গোয়ার।


দেশে চাকরি আছে। কিন্তু সেই চাকরি করার জন্য যোগ্য প্রার্থী নেই। মন্ত্রীর কথায়, দেশের চাকরিপ্রার্থীরা ‘অযোগ্য’। রবিবার কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী একটি অনুষ্ঠানে কর্মসংস্থান ও বেকারত্ব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, “আজকাল খবরের কাগজে কর্মসংস্থান নিয়ে অনেক লেখালেখি হচ্ছে। আমি সেই মন্ত্রকেই কাজ করছি। আমরা এই বিষয়টা বুঝি। তবে আমি আপনাদের বলতে পারি, দেশে চাকরির অভাব নেই। তবে সেই চাকরি করার জন্য গুণগত প্রার্থী পাওয়া যায় না।”


দিন কয়েক আগেই, গাড়ি শিল্পের মন্দা নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থীমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ওলা-উবারের দাপটে গাড়ি কেনাবেচায় টান পড়েছে, মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। দেশজুড়ে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই  বক্তব্যের সমালোচনা করে। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আরও এক সদস্যের বক্তব্য নিয়ে ফের নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল। সরব বিরোধীরাও।