নয়াদিল্লি : গত শনিবার ছিল বিয়ের দিন। আর ওই দিনটাই ছিল মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের হারসুল গ্রামের ২০ বছরের তরুণী রেনুকা পাওয়ারের দ্বাদশ শ্রেণীর অর্থনীতি বিষয়ের পরীক্ষা। এমনিতেই পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তার ওপর বাবার মৃত্যুর পর পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়েছে। তাই নিজের পায়ে দাঁড়াতে মরিয়া তরুণী বিয়ের আসরে যাওয়ার চেয়ে পরীক্ষার হলে পৌঁছনোকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিলেন। বর অপেক্ষায় রইলেন বিয়ের আসরে।
ওই দিন গণবিবাহের আসরে বিয়ের কথা ছিল রেনুকার। তিনি বলেছেন, পরীক্ষাটাই ছিল তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পড়াশোনায় যাতে কোনও ছেদ না পড়ে তা নিশ্চিত করতে তাঁকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। তাই রেনুকা বলেছিলেন, বিয়ের সময় এমনভাবে করতে হবে, যাতে তা পরীক্ষার সময়ে না পড়ে।
পরীক্ষা নিয়ে শনিবার দুপুর সোয়া দুটো নাগাদ বিয়ের আসরে পৌঁছন রেনুকা। সেখানে তিনটি বিয়ের আসর বসেছিল। সকাল থেকে না আসা ও হন্তদন্ত হয়ে ঢোকার কারণ জানাতে সেখানে উপস্থিত সবাই রেনুকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন।
কিছুক্ষণ পর ওই গণবিবাহ অনুষ্ঠানে শঙ্কর নামে যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় রেনুকার।

এর আগে, কর্নাটকের একটি মেয়ে কনের বেশেই পরীক্ষায় বসেছিলেন। বিয়ের পরই শ্বেতা নামের ওই তরুণী হলে গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। আর খুশি মনে বাইরেই অপেক্ষা করছিলেন তাঁর স্বামী।