নয়াদিল্লি: রাজধানী দিল্লিতে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। বাবা-মাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর মৃতদেহগুলো স্যুটকেসে ভরে নর্দমায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মেয়ে এবং তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত দবিন্দর কৌর এবং তার প্রেমিক প্রিন্স দীক্ষিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দিল্লির দীপক বিহারের। সেখানকার নীলোঠি এলাকায় একটি জমি ছিল নিহত দম্পতির। সেই জমি নিয়েই মেয়ের সঙ্গে বাবা-মায়ের বিবাদের সূত্রপাত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
গত ৮ মার্চ পুলিশের কাছে খবর যায় যে, পশ্চিম বিহারের নর্দমায় মেরুন রংয়ের একটি সন্দেহজনক স্যুটকেস ভাসতে দেখা গিয়েছে। পুলিশ গিয়ে সেই স্যুটকেস উদ্ধার করে। তার ভিতর থেকে পাওয়া যায় ৪৭ বছরের জাগীর কৌরের মৃতদেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ আধিকারিকেরা জানতে পারেন, মহিলাকে খুন করার পর দেহ স্যুটকেসে ভরে নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ডেপুটি কমিশনার সেজু কুরুভিল্লা বলেছেন, ‘পশ্চিম বিহার থানায় মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়।’
তারপরই জানা যায় যে, জাগীরের স্বামী গুরমিত সিংহও নিরুদ্দেশ। ৯ মার্চ আর একটি স্যুটকেসে গুরমিতের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নিহত দম্পতির মেয়ে দবিন্দরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তার বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি পায় পুলিশ। টানা জেরার পর দোষ কবুল করে দবিন্দর। তদন্তকারীদের সে জানায় যে, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর গত এক বছর ধরে প্রিন্সের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তার। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, নীলোঠি এলাকার জমি দবিন্দরের নামে লিখে দেওয়া নিয়েই ওই দম্পতির সঙ্গে মেয়ের বিবাদ বাধে। তারপরই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে বাবা-মাকে হত্যা করে সম্পত্তি দখলের ছক কষে দবিন্দর।
মা মারা যাওয়ায় জলন্ধর গিয়েছিলেন জাগীর। সেই সুযোগে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তারপর গুরমিতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে প্রিন্স ও দবিন্দর। খুনের সময় তাদের সাহায্য করেছিল আরও দুজন। তারপর মৃতদেহ স্যুটকেসে ভরে নর্দমায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়। পরে জলন্ধর থেকে বাড়ি ফেরার পর জাগীরের পরিণতিও হয় স্বামীর মতো। তাঁকেও ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করে নিস্তেজ করে দেওয়ার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। মৃতদেহ স্যুটকেসে ভরে ভাসিয়ে দেওয়া হয় নালায়।
দুই অপরাধীই এখন পুলিশের জালে।
বাবা-মাকে খুন করে দেহ স্যুটকেসে ভরে নর্দমায় ফেলল মেয়ে ও তার প্রেমিক
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
11 Mar 2019 08:22 PM (IST)
NEXT
PREV
আজ ফোকাস-এ (aaj-focus-e) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -