নয়াদিল্লি: রবিবার তিনি অভিযোগ এনেছিলেন, অনলাইন পোস্টের মাধ্যমে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, সোমবার ফেসবুক ইন্ডিয়ার পাবলিক পলিসি এক্সিকিউটিভ আঁখি দাসের বিরুদ্ধেই পাল্টা অভিযোগ করলেন রায়পুরের এক সাংবাদিক। আঁখির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ধর্মবিশ্বাস ও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানছেন, মানুষকে তাতে উস্কানি দিচ্ছেন।
গত কয়েকদিন ধরেই একটি মার্কিন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিতর্কের কেন্দ্রে আঁখি দাস। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ফেসবুক ভারতে বাণিজ্যিক ধাক্কা খাওয়ার ভয়ে বিজেপি নেতা নেত্রীদের উস্কানিমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সেই রিপোর্ট অনুসারে, ফেসবুকের এই পলিসির নেপথ্যে আছেন ফেসবুক ইন্ডিয়ার পাবলিক পলিসি এক্সিকিউটিভ আঁখি দাস।
এই রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকেই বিতর্ক ঘনায়। বিরোধীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন আঁখি। একদিকে এই নিয়ে যেমন বিজেপি-কংগ্রেস তরজা চলতে থাকে, তেমনই নেটিজেনদের একাংশ আঁখির বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করতে শুরু করে।
এরপরই এই ব্যাপারে পদক্ষেপ করেন আঁখি। দিল্লি পুলিশের সাইবার সেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তাতে বলা হয়, ‘একাধিক ব্যক্তি অনলাইনে তাঁকে ঘিরে হিংসাত্মক পোস্ট করছে ও হুমকি দিচ্ছে। প্রাণহানির ভয়ও দেখানো হচ্ছে।’ অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও এফআইআর হয়নি বলে জানান দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক। এই অভিযোগ পত্রে কয়েকজনের নাম ছিল। সূত্রের খবর, তার মধ্যে ছিল আওয়েশ তিওয়ারির নামও।
এরপরই আওয়েশ তিওয়ারি নামে ওই সাংবাদিক রায়পুরে আঁখি দাসের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন।
গত ১৪ অগাস্ট মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে বাণিজ্যিক ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কাতেই বিজেপির উস্কানিমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষ রোধ আইন’ প্রয়োগে বাধা দেন নাকি আঁখিই। রিপোর্টের দাবি, আঁখিই নাকি সংস্থার কর্মীদের বলেন, বিজেপি নেতাদের পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ভারতে ফেসবুকের বাণিজ্যিক ক্ষতি হতে পারে।
এর পরে ফেসবুকের তরফে এক মুখপাত্র সোমবার দাবি করেছেন, ‘উস্কানিমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে আমরা সব সময়েই কড়া নীতি নিয়ে চলি। ভারতে আমাদের ওই কর্মকর্তা সেই বিজেপি নেতার পোস্ট না-সরানোর জন্য যে কারণ দেখিয়েছিলেন, তার মধ্যে শুধু ব্যবসায়িক স্বার্থের বিষয়টি ছিল না।’