নয়াদিল্লি: লকডাউনের জেরে তখন পরিযায়ী শ্রমিকরা ট্রেন, বাস না পেয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন, ঠিক তখনই ঠিক উল্টো ছবি দেখা গেল এদেশেই। ভোপাল থেকে দিল্লি আসার জন্য চারজনের একটি পরিবার প্রায় ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে বুক করল একটি গোটা এয়ারবাস এ ৩২০ বিমান।


একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পশ্চিম ভারতের একটি সংস্থা ১৮০ আসনের ওই বিমানটি বুক করে। সোমবার সকাল ৯.০৫ মিনিটে দিল্লি থেকে শুধু পাইলট ও কর্মীদের নিয়ে বিমানটি ভোপালের উদ্দেশে রওনা দেয়। ১১.৩০ মিনিটে বিমানটি ভোপাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর ওই পরিবার বিমানে ওঠে। দুপুর ১২.৫৫ মিনিটে বিমানটি দিল্লি ফিরে আসে। ধনী ব্যক্তি ও বিভিন্ন সংস্থা এই সময় অন্যদের সঙ্গে একই বিমানে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে নারাজ। সেই কারণেই বিমান বুক করা হয়।

চতুর্থ দফার লকডাউনের মধ্যেই ঘরোয়া উড়ান চালু হয়েছে। এতদিন উড়ান বন্ধ থাকায় বিমান সংস্থাগুলি বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে এবার ঘরোয়া উড়ান চালু হওয়ার পর চার্টার্ড ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। অনেক ধনী ব্যক্তিই সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য চার্টার্ড ফ্লাইটে ভ্রমণ করছেন। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বিমানের জ্বালানির দাম অনুযায়ী এয়ারবাস এ ৩২০ বিমানে চড়ে যে কোনও জায়গায় যাওয়ার জন্য ঘণ্টায় চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হচ্ছে। দিল্লি থেকে মুম্বই চার্টার্ড ফ্লাইটে গেলে খরচ হবে ১৬ থেকে ১৮ লক্ষ টাকার মতো। এর আগে গদত ২১ মার্চ তিনজনের একটি পরিবার চার্টার্ড ফ্লাইটে ইউরোপ থেকে ভারতে আসে। এবার দেশেও চার্টার্ড ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ছে।