নয়াদিল্লি: ৩১ মে শেষ হয়ে যাবে চতুর্থ লকডাউন। শোনা যাচ্ছে, আরও একবার লকডাউন বাড়ানোর কথা ভাবছে কেন্দ্র, সে জন্য তৈরি হচ্ছে রোডম্যাপ। তবে আসলে এটা লকডাউন থেকে বার হওয়ার জন্য চূড়ান্ত প্ল্যান।


লকডাউন চালু হওয়ার পর থেকে দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু বহু বিশেষজ্ঞ দাবি করছেন, লকডাউন না হলে এই সংখ্যাটা অবিশ্বাস্যরকম বেড়ে যেত। প্রতিবারেই লকডাউন বাড়ানোর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। শোনা যাচ্ছে, এবারও ১ জুন জাতিকে সম্বোধন করে লকডাউন শেষবারের মত বাড়াবেন তিনি। তবে ৩১ তারিখ যেহেতু রবিবার, ওদিন প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত রেডিও অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। লকডাউন বাড়ানোর কথা সেখানেও ঘোষণা করতে পারেন তিনি।

দেখে নিন, লকডাউন ৫.০-র সম্ভাব্য গাইডলাইন

  • বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রাজ্যগুলি ঠিক করবে, কী কী কাজ করা যাবে, কী করা যাবে না।

  • কনটেনমেন্ট জোনগুলি যেমন আছে তেমনই থাকবে। সেকানে কোনও কাজকর্ম করা যাবে না।

  • কেন্দ্র শিগগিরই একটি তালিকা প্রকাশ করবে, তাতে তারা জানাবে, কোন কোন কাজ দেশে আপাতত বন্ধই থাকবে।

  • এখনও পর্যন্ত খবর, ১৫ জুনের আগে কোনও স্কুল খুলতে দেওয়া হবে না বলে ঠিক করা হয়েছে।

  • শপিং মল খোলা যেতে পারে তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় প্রশাসন।

  • ট্রেন ও ঘরোয়া উড়ান চালু হয়ে গিয়েছে। ১ জুন থেকে কিছু নিয়মকানুন মেনে চালু হয়ে যেতে পারে দিল্লি মেট্রোও।

  • কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, পুনে, থানে, ইন্দোর, চেন্নাই, আমদাবাদ, জয়পুর ও সুরাত- এই কটি শহর লকডাউন ৫.০-র মূল ফোকাসে থাকবে।

  • কোনও ধর্মীয় জমায়েত হবে না। তবে ধর্মীয় স্থান খুলে দেওয়ার বিষয়টি রাজ্যের ওপর ছাড়া যেতে পারে।

  • রেস্তোঁরাগুলি খোলার সিদ্ধান্তও দেওয়া যেতে পারে রাজ্যগুলির ওপর।

  • লকডাউন ৫.০-য় কোনও আন্তর্জাতিক উড়ানে সিলমোহর দেওয়া হবে না।