নয়াদিল্লি: পুলওয়ামা হামলা কাণ্ডের তদন্তে প্রথম কেউ গ্রেফতার হল। শুক্রবার, এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) বা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। ধৃতকে ১৫ দিনের এনআইএ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।


এনআইএ জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী শাকির বশির মাগ্রে জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম)-এর ওভার-গ্রাউন্ড ওয়ার্কার(ওজিডব্লিউ) হিসেবে কাজ করত। পুলওয়ামা জেলার কাকাপোরার মহকুমার অন্তর্গত হাজিবাল অঞ্চলের বাসিন্দা শাকিরকে এদিন জম্মুর বিশেষ এনআইএ আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক তাকে ১৫ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।


ফার্নিচার ব্যবসায়ী শাকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ দারকে আশ্রয় দেয়। পাশাপাশি, তার সমস্ত ধরনের প্রয়োজন মেটায়। এনআইএ সূত্রেল খবর, পাক জঙ্গি মহম্মদ উমর ফারুকের মাধ্য়মে আদিলের সঙ্গে পরিচয় হয় শাকিরের। এরপরই, জইশের পূর্ণ সময়ের ও স্থায়ী ওজিডব্লিউ হয়ে ওঠে শাকির।





প্রাথমিক জেরা পর্বে, শাকির স্বীকার করেছে, বহুবার সে পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিদের সঙ্গে অস্ত্র, গোলাবারুদ, নগদ ও বিস্ফোরকের আদান-প্রদান করেছে। শাকির জেরায় আরও জানিয়েছে, ২০১৮ সালের শেষ থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সে আদিল ও উমর ফারুখকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল। এমনকী, ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোজিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরি করতেও সাহায্য করেছিল।


শাকিরের দোকান লেথপোরা সেতুর কাছে। সে জানিয়েছে, উমরের নির্দেশে সে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে জম্মু-কাশ্মীর সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা সিআরপিএফ-এর কনভয়ের  ওপর নজর রাখত। সেই তথ্য সে দিত আদিল ও উমরকে।


এনআইএ তদন্তে উঠে এসেছে, হামলায় ব্যবহৃত গাড়ি ছিল মারুতি ইকো। জেরায় সে কথা স্বীকার করেছে শাকির বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এছাড়া, বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, নাইট্রো-গ্লিসারিন, ও আরডিএক্স।


হামলায় আত্মঘাতী জঙ্গি ছিল আদিল। এছাড়া, ওই হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িয়ে ছিল যারা, তারা হল—দক্ষিণ কাশ্মীরের জইশের ডিভিসনাল কমান্ডার মুদাসির আহমেদ খান, পাক জঙ্গি মহম্মদ উমর ফারুখ ও আইইডি বিশেষজ্ঞ কমরান, গাড়ির মালিক সজ্জাদ আহমেদ ভট্ট, জইশের কাশ্মীর কমান্ডার কারি ইয়াসির। সকলেই নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে খতম হয়েছে।