ভুবনেশ্বর: উত্তরপূর্ব দিল্লির হিংসা, অশান্তির জন্য বিরোধীদের দিকে আঙুল তুললেন অমিত শাহ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) -কে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন হিংসায় বিধ্বস্ত রাজধানী শহরের একাংশে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। সিএএ সমর্থক, বিরোধীদের সংঘর্ষে একাধিক মৃত্যু হয়েছে। জখম বহু মানুষ। আগুনে পুড়েছে বাড়িঘর, যানবাহন। এই প্রেক্ষাপটে ওড়িষার রাজধানীতে সিএএ-র সমর্থনে প্রচারসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুলেছেন ওই আইন সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়িয়ে হিংসায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে।
সিএএ কার্যকর হলে মুসলিমরা নাগরিকত্ব হারাবেন-কংগ্রেস, বাম দলগুলি, তৃণমূল কংগ্রেস,সমাজবাদী পার্টি (সপা) ও বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা) সহ বিরোধী শিবির এই দাবি করছে বলে অভিযোগ জানিয়ে শাহ বলেন, কেন সিএএ নিয়ে ওরা মিথ্যা বলছে? আজ ফের এখানে দাঁড়িয়ে আমি বলছি, সিএএ-র মাধ্যমে একজন মুসলিমেরও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না কারণ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া নয়, দেওয়াই এই আইনের উদ্দেশ্য। বসপা, সপা, কমিউনিস্ট, কংগ্রেস, মমতা দিদি সবাই সিএএ-র বিরোধী কেননা তাঁরা বলছেন, সংখ্যালঘুরা এই আইনে নাগরিকত্ব হারাবেন। কেন ওঁরা মিথ্যা বলছেন?
ওঁরাই মানুষকে খেপিয়ে দাঙ্গা বাঁধাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন শাহ। আরও বলেন, মানুষের উচিত, যারা অশান্তি ছড়াচ্ছে, তাদের প্রশ্ন করা, সিএএ-র কোন ধারায় নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা আছে।
প্রসঙ্গত, সিএএ-তে ধর্মকে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার মাপকাঠি করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এমনটা হল এই প্রথম। তাতে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নির্যাতন থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা অ-মুসলিমদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার গ্যারান্টি রয়েছে।
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল সহ গত ৭০ বছর ধরে জিইয়ে রাখা একাধিক সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে বলে দাবি করেন শাহ। এইসব সমস্যা বাকি দেশের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের সামিল হওয়া বাধা হয়ে উঠেছিল বলেও অভিমত জানান তিনি।