তিরুঅনন্তপুরম: দাদর নগর হাভেলির জেলা আধিকারিক তিনি। সেখানকার সরকারের হয়ে গিয়েছিলেন বন্যা বিধ্বস্ত কেরলে। এক কোটি টাকা অর্থ সাহায্য দিয়ে তাঁর তিরুঅনন্তপুরম থেকে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি ফেরেননি। চলে যান কেরলের বন্যা কবলিত সবচেয়ে বিধ্বস্ত জেলা চেঙ্গানুরে। যদিও তাঁর নিজের পৈতৃক বাড়ি রয়েছে পুথুপল্লিতে। কোথাও না গিয়ে তিনি চেঙ্গানুরের বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে টানা আট দিন পড়ে থাকেন। সেখানকার মানুষদের নানা ভাবে সাহায্য করেন। কাউকে নিজের পরিচয় জানাননি আইএএস কান্নান গোপীনাথন। পরে সেখানকারই এক ত্রাণ শিবিরে কাজ করার সময়, তাঁর এক সিনিয়র তাঁকে চিনে ফেলেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে কেরল থেকে নিজের কাজের জায়গায় ফিরে আসেন। সেখানে এসে যদিও অফিসে ছুটির আবেদন করেছিলেন কান্নান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে, তাঁর ওই আট দিনকে অফিসিয়াল ডিউটি হিসেবে দেখানো হয় খাতায় কলমে। আট দিন কেরলের বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে কান্নানের কাটানো কিছু মুহূর্তের ছবি তিনি নিজে তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ারও করেছেন।
২০১২ সালের ব্যাচের আইএএস কান্নান। গত ২৬ অগাস্ট যান বন্যা বিপর্যস্ত কেরলে। সেখানে গিয়ে ৩২ বছরের এই প্রশাসনিক আধিকারিক যেভাবে কাজ করেছেন, সেটা গোটা আইএএস সংগঠনের কাছে গর্বের। তাঁর কান্নানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইটও করেছেন।
যদিও নিজের এই কর্মকাণ্ডকে সকলের আড়ালে রাখতেই চেয়েছিলেন এই আইএএস। তিনি মনে করেন, তিনি এমন কিছুই করেননি, শুধু নিজের কাজটাই করেছেন। তিনি মনে করেন, সেখানে যাঁরা দিনের পর দিন পরে থেকে বন্যা কবলতি মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরাই আসল নায়ক। তবে তাঁর আশা যেভাবে এত মানুষ কেরলের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে অন্তত ভগবানের আপন দেশ খুব তাড়াতাড়িই নিজেদের আবার গুছিয়ে নিতে পারবে।
চারশো লোক এই বন্যায় মারা গিয়েছে, ঘরছাড়া ১৩ লক্ষ মানুষ।