নয়াদিল্লি: পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চলল গুলি। গত তিনমাস ধরে এই জায়গাতেই সীমান্ত সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে।


সূত্রের খবর, চিনা সেনা অগ্রসর হচ্ছে দেখে সতর্ক করতে ভারতীয় সেনার তরফে গুলি চালানো হয়। পাল্টা গুলি চালায় লাল ফৌজও। যদিও চিনের দাবি, টহলদারির সময় দুই বাহিনী মুখোমুখি হয়। তখনই গুলি চালায় ভারতীয় সেনা। পাল্টা ব্যবস্থা নেয় লাল ফৌজ।





ভারতের তরফে সরকারি স্তরে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি জারি করা না হলেও, চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রককে উদ্ধৃত করে সেদেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের দাবি, ভারত প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। চিনের প্যাট্রলিং দল যখন কথা বলার জন্য এগোচ্ছিল, সেই সময় ভারত ফায়ারিং করে। চিন তখন জবাবি ফায়ারিং করে।





৪৫ বছর পর এবার লাদাখ সীমান্তে গুলি চলল। অরুণাচল প্রদেশে ১৯৭৫ সালে শেষবার ভারত-চিন সীমান্তে গুলি চলেছিল।


সম্প্রতি, প্যাংগং লেকের দক্ষিণ তটের একটি গুরুত্বপূর্ণ শৃঙ্গ চিনাদের থেকে মুক্ত করে পুনঃদখল করেছে ভারতীয় সেনা। গতমাসে, চিনা ফৌজ একাধিকবার লাদাখের চুলসুল এলাকায় প্যাংগং লেকের দক্ষিণ তটের কাছ দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু, প্রতিবার, ভারতীয় সেনার প্রতিরোধে তাদের সেই অপচেষ্টা প্রতিহত হয়েছে।


গত এপ্রিল-মে মাস থেকে পূর্ব লাদাখে চূড়ান্ত সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত ও চিনা সেনা। গালওয়াল উপত্যকা থেকে শুরু করে ফিঙ্গার ফোর, হট স্প্রিংস ও কোংরুং নালা অঞ্চল দিয়ে বারবার ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে চিনা পিএলএ।


পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ হয়ে ওঠে জুন মাসে। গালওয়ানে চিনা সেনার বর্বরোচিত আক্রমণে প্রাণ হারান ২০ ভারতীয় জওয়ান। ভারতের পাল্টা মারে ৪০ জন চিনা সেনাকর্মী হতাহত হয়।


তারপর থেকে পরিস্থিতি চরম উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে রয়েছে। একাধিকবার সামরিক পর্যায়ে বৈঠক হলেও, কোনও সুষ্ঠু সমাধান বের হয়নি। এমনকী, সম্প্রতি মস্কোয় দুদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকও হয়। সেখানে বেজিংকে নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দেয়, ভারত কোনওমতেই নিজের জমি ছাড়বে না।


সেই বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ফের গুলি চলার ঘটনা ঘটল।