প্রসঙ্গত, নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন সুহেইব। সেই মামলারই আজ রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট। ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের রায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন সুহেইব। তাঁর যাবজ্জীন কারাদণ্ডও হয়। এছাড়া সুহেইবকে ক্ষতিপূরণ বাবদ অঞ্জু ইলিয়াসির বাবা-মাকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশও দেয় নিম্ন আদালত। নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই হাইকোর্টে গিয়েছিলেন সুহেইব। আদালতের আজকের রায় শুনে খুশি প্রাক্তন এই উপস্থাপকের মেয়ে আলিয়া। তিনি রায়দানের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শোনার পর তাঁর প্রতিক্রিয়া, বাবার প্রতি তাঁর সবসময়ই বিশ্বাস ছিল।
প্রসঙ্গত, নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পর আদালত কক্ষের মধ্যেই ভেঙে পড়েছিলেন সুহেইব। তিনি বারংবার বলেছিলেন এটা অবিচার হল, তিনি নির্দোষ।
২০০০ সালের ১১ জানুয়ারি ময়ূর বিহারে নিজের বাড়িতেই ছুরিকাহত অবস্থায় উদ্ধার হন প্রাক্তন সঞ্চালক সুহেইবের স্ত্রী অঞ্জু ইলিয়াসি। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর সেখানেই মৃত্যু হয়। ওই বছরেরই ২৮ মার্চ সুহেইবকে গ্রেফতার করা হয়। সুবেইবের শ্যালিকা এবং শাশুড়ি তাঁর বিরুদ্ধে পণের দাবিতে অত্যাচারের অভিযোগ আনেন। নিম্ন আদালত সুহেইবের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে স্ত্রী ওপর অত্যাচার এবং তার থেকেই মৃত্যুর অভিযোগ আনেন। ৩০৪ (বি) এবং ৪৯৮ (এ) ধারায় মামলা রুজু হয়।
ক্রাইম শো ‘ইন্ডিয়াস মোস্ট ওয়ান্টেডে’র সৌজন্যেই জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে ছিলেন সুহেইব ইলিয়াসি।