নয়াদিল্লি: প্রতি বছর ২ অক্টোবর গাঁধী জয়ন্তী হিসেবে পালন করা হয়। এই দিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোধা-পুরুষ মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী। ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর গুজরাতের পোরবন্দরে জন্ম তাঁর। মায়ের নাম পুতলীবাই, বাবার নাম কর্মচন্দ গাঁধী। এবছর মহাত্মাগাঁধীর ১৫২ তম জন্মজয়ন্তী। স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অসামান্য অবদানই নয়, মহাত্মা গাঁধী তাঁর সমগ্র জীবন একটি প্রেরণা হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেছিলেন। জীবন ন্যায় ও সত্যের পথে থেকে সফলতা লাভের মন্ত্রও তিনি দিয়েছিলেন। দেখে নেওয়া যাক- তাঁর সফলতা সম্পর্কে তাঁর কিছু উপদেশ।
জ্ঞান বিতরণ করলে বাড়ে-গাঁধীজী মনে করতেন, অর্জিত জ্ঞান যতটা বিতরণ করা যায়, আদতে তা ততটাই বাড়ে। এজন্য সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। এতে ব্যক্তিত্বের বিকাশ হবে। জ্ঞান বাড়বে।
ধৈর্য্য বজায় রাখুন- গাঁধীজী মনে করতেন, যে কোনও কাজ করার সময়ই ধৈর্য্য সহকারে করতে হবে। কোনওভাবেই ধৈর্য্যচ্যূত হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেছেন, কোনও কাজে সাফল্য পেতে যে সমস্ত সমস্যা আসবে, সেগুলির মোকাবিলা করতে হবে। এভাবেই সাফল্যের জন্য এগিয়ে যেতে হবে।
সঞ্চয় জরুরি- গাঁধীজী মনে করতেন, ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় জরুরি। যে অর্থ এখন রোজগার হচ্ছে, তার একটা অংশ ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা দরকার।
দৃঢ় চরিত্র- গাঁধীজী মনে করলেন, কোনও ব্যক্তির চরিত্র, আত্মবিশ্বাস ও সাহস মজবুত হওয়া দরকার। এই গুণাবলীতে অন্যদের প্রভাবিত করা যায়।
এখন জেনে নেওয়া যাক গাঁধীজীর জীবনের কিছু আকর্ষণীয় তথ্য-
-স্কুলজীবনে গাঁধী ইংরেজিতে খুব ভালো ছিলেন। অন্যদিকে, অঙ্কে তিনি গড়পড়তা ও ভূগোলে দুর্বল ছিলেন। তাঁর হাতের লেখা ছিল খুব সুন্দর।
-বিশিষ্ট বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন মহাত্মা গাঁধীর দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, একদিন অনেকেরই বিশ্বাস হবে না, এমন মানুষ পৃথিবীতে এসেছিলেন।
-মহাত্মা গাঁধী কখনও আমেরিকায় যাননি। তিনি কখনও বিমানেও চড়েননি।
-নিজের ছবি তোলা একেবারেই পছন্দ ছিল না গাঁধীজীর।
-আইনজীবীর পেশা শুরুর সময় প্রথম মামলাতেই হেরে গিয়েছিলেন মগাত্মা গাঁধী।
-তিনি নিজের নকল দাঁত ধুতির খুঁটে বেঁধে রাখতেন। শুধুমাত্র খাওয়ার সময় তা ব্যবহার করতেন।