মুম্বই: আর কয়েকদিনের অপেক্ষা, তারপরেই শুরু হতে চলেছে গণেশ উৎসব। শুক্রবার গণেশ চতুর্থী। মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ ছাড়াও, কর্ণাটক, গুজরাত, ওড়িশা, গোয়া, ছত্তীসগঢ়, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে মহাসমারোহে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী। পশ্চিমবঙ্গেরও বিভিন্ন জায়গায় হয় গণেশ পুজো। ১০ দিনের পুজো শেষ হবে ২১ তারিখ।  


গণেশ চতুর্থী বিনায়ক চতুর্থী হিসেবেও পরিচিত। বাড়িতে, আবাসনে, ক্লাবে, মণ্ডপে গণেশমূর্তির আরাধনা করা হয়। পুজোর কয়েকদিন সবাই একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন। পুজো শেষে গণেশমূর্তি ভাসান দেওয়া হয়। গণেশপুজোর অন্যতম প্রসাদ হল মোদক। পুরাণ অনুযায়ী, গণেশের প্রিয় খাবার মোদক। সেই কারণেই প্রসাদ হিসেবে মোদক বিতরণ করা হয়।


জ্ঞান ও সমৃদ্ধির দেবতা গণেশ। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, ভাদ্রপদ মাসে তাঁর জন্ম। ইংরাজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে গণেশের জন্ম। গণেশ চতুর্থীতে তাঁর জন্মের উৎসব পালন করেন ভক্তরা। গণেশকে প্রজ্ঞা, রচনা, ভ্রমণ, বাণিজ্য ও সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করা হয়। তাঁকে গজানন, গজদন্ত ও বৃহদন্ত নামেও ডাকা হয়। তাঁর মোট নামের সংখ্যা ১০৮।


পুরাণ অনুসারে, দেবী পার্বতী চন্দনবাটা দিয়ে গণেশকে তৈরি করেন। এরপর তিনি স্নান করতে যাওয়ার সময় গণেশকে বলেন, দরজা আগলে রাখতে হবে। কেউ যেন ঘরে ঢুকতে না পারে। মায়ের আদেশ অনুসারে দরজা আগলে বসে থাকেন ছোট্ট গণেশ। শিব এসে পার্বতীর সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু তাঁকে ঘরে ঢুকতে দেননি গণেশ। রেগে গিয়ে গণেশের মুণ্ডচ্ছেদ করেন শিব। তা দেখে শোকে ভেঙে পড়েন পার্বতী। তখন শিবের রাগ দূর হয়ে যায়। তিনি বলেন, গণেশের প্রাণ ফিরিয়ে দেবেন। তিনি অনুচরদের বলেন, প্রথমে যে প্রাণী চোখে পড়বে, সেটির মাথা নিয়ে আসতে হবে। শিবের অনুচররা একটি হাতির বাচ্চাকে দেখতে পেয়ে তার মাথাই এনে দেন। সেই থেকেই গণেশের মাথা হাতির।


এবার গণেশ চতুর্থী থাকছে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১৭ মিনিট থেকে শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত। পূজাবিধির সময় শুরু শুক্রবার সকাল ১১টা ৩ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ৩৩ মিনিট পর্যন্ত।