অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : ইলিশের পোলাও থেকে শুরু করে পাতুড়ি, কচুশাক ইলিশ, ইলিশের টক, রকমারি পদের সুঘ্রাণ উত্সব অঙ্গন জুড়ে। মাত্র ৪০০ টাকা খরচ করলেই পেট ভরে রকমারি ইলিশের (Hilsa) পদে জিভ-মনের স্বাদপূরণের সুবর্ণ সুযোগ। এমনিতেই বাজারে এ বছর ইলিশের খুব একটা দেখা নেই। বাজারে যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে, তার দাম আবার আকাশছোঁয়া। এই প্রেক্ষাপটেই কলকাতার ইলিশ রসিকদের সেই বাংলাদেশের ইলিশ খাওয়ালেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। প্রতি বছরের মতো এ বছরও কাঁকুরগাছির এপিসি পার্কে বৃষ্টির কলকাতায় বাঙালির জিভে জল আনা পদ্মা-গঙ্গা ইলিশ উত্সবের আয়োজন করা হয়। এবার ১৭ বছরে পা রাখল এই ইলিশ উৎসব। আর যে স্বাদের ভাগ পেতে নেতা-মন্ত্রী থেকে সাধারণ মানুষ হাজির সকলেই।
সোমবার দুপুরে রূপোলি শস্যের স্বাদ নিতে ৪০০ টাকার টিকিট কেটে হাজির হন প্রায় ১৪০ জন। হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারও। ইলিশের পোলাও থেকে শুরু করে পাতুড়ি, কচুশাক ইলিশ, ইলিশের টক- রকমারি পদের সুঘ্রাণ উত্সব অঙ্গন জুড়ে। করোনা বিধির কথা মাথায় রেখে একটা করে আসনের দূরত্ব রেখে বসানো হয় ভোজন বিলাসীদের। খাবার সময়টুকু বাদে মাস্ক যাতে সবাই পরে থাকেন, সেই কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়।
প্রথমবারের জন্য এরকম অনন্য উৎসবে সামিল হওয়া উৎসাহী থেকে প্রত্যেক বছর নিয়ম করে আসা ভোজনবিলাসী সবারই হাতে-পাতে ইলিশের বর্ষণমুখর দুপুর কাটল এদিন। উৎসবের আবেশে অবশ্য আপাতত কাঁকুরগাছির এপিসি পার্কে দূর হয়ে গিয়েছে ঘটি-বাঙালের দ্বন্দ্ব। ইলিশের টানে সবাই ছুটেছেন উৎসবের অংশ হতে। প্রথমে রবিবার হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষক দিবসের জন্য একদিন পিছিয়ে এদিন আয়োজন করা হয়েছিল এই বিশেষ ইলিশ উৎসব।
আরও পড়ুন-
শ্রাবণ শেষেও কলকাতার বাজারে ইলিশের আকাল, জোগান নিয়ে এখনও অনিশ্চিত বিক্রেতারা
ইলিশের জোগান কম, বাঙালির পাত থেকে এবার উধাও হতে চলেছে রকমারি মাছও